এনআরসি আবেদনে জমা জাল নথিপত্র

রাজ্যের অন্যান্য জায়গার মতো করিমগঞ্জেও চলছে নাগরিক পঞ্জি (এনআরসি) নবীকরণের কাজ। পূর্ণ গতিতে চলছে কাগজপত্র পরীক্ষার কাজ। কিন্তু এর মধ্যেই করিমগঞ্জ জেলায় ১৮০ জন নিজেদের ভারতীয় হিসেবে প্রমাণ করতে ‘জাল নথিপত্র’ দাখিল করেছেন বলে করিমগঞ্জের জেলাশাসক মনোজ কুমার ডেকা জানিয়েছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

করিমগঞ্জ শেষ আপডেট: ১২ জুন ২০১৬ ০৮:৪৩
Share:

রাজ্যের অন্যান্য জায়গার মতো করিমগঞ্জেও চলছে নাগরিক পঞ্জি (এনআরসি) নবীকরণের কাজ। পূর্ণ গতিতে চলছে কাগজপত্র পরীক্ষার কাজ। কিন্তু এর মধ্যেই করিমগঞ্জ জেলায় ১৮০ জন নিজেদের ভারতীয় হিসেবে প্রমাণ করতে ‘জাল নথিপত্র’ দাখিল করেছেন বলে করিমগঞ্জের জেলাশাসক মনোজ কুমার ডেকা জানিয়েছেন। তিনি বলেন ‘‘নাগরিক পঞ্জি তৈরির বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কেউ যাতে ভুয়ো তথ্য দিতে না পারে সে বিষয়ে তীক্ষ্ণ নজর রাখা হচ্ছে।’’

Advertisement

একই সঙ্গে প্রকৃত ভারতীয়রা যাতে কোনও ভাবে হেনস্থার শিকার না হন সে বিষয়ে দৃষ্টিরাখা হয়েছে। ভুয়ো তথ্য দাখিল যারা করেছে তাদের বিরুদ্ধে করিমগঞ্জ জেলা প্রশাসনের তরফে ইতিমধ্যেই থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় ছ’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ভুয়ো কাগজ প্রস্তুত করার সঙ্গে জড়িত এমানউদ্দিন এবং আব্দুল সাত্তারকেও আজ গ্রেফতার করেছে করিমগঞ্জ পুলিশ। তদন্তকারী অফিসার বীরমঙ্গল সিনহা জানিয়েছেন, ৩০০ টাকার বিনিময়ে জন্মের প্রমানপত্র তৈরি করে দিত এমান। জনৈক সালমা বেগমের কন্যা শিল্পার জন্মের প্রমাণপত্র এনআরসিতে দাখিল করা হয়েছে। কিন্তু দেখা যায় ২১৩৫ নম্বরের জন্মের প্রমাণপত্রটি জহিরুল আহমেদের নামে ইস্যু করা হয়েছিল। সেই প্রমাণপত্রকে জাল করে নাম পরিবর্তন করা হয়। জাল নথি তৈরি চক্রের মূল পাণ্ডা এনামউদ্দিনের স্ত্রী স্বাস্থ্য বিভাগের আশা কর্মী। পুলিশের অনুমান, এই আশা কর্মীকে দিয়েই জহিরুলের জন্মের প্রমাণপত্র সংগ্রহ করা হয়েছিল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন