প্রসব বেদনায় কাতরাচ্ছিলেন মহিলা। পরিবারের লোকেরা বারবার অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা নম্বর ১০৮-এ ফোন করেছিলেন। কিন্তু অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবার তরফে সরাসরি জানিয়ে দেওয়া হয়, জল জমে থাকার কারণে অ্যাম্বুল্যান্স ওই গ্রামে পাঠানো সম্ভব নয়। হাসপাতালেও ফোন করে অ্যাম্বুল্যান্স পাঠানোর জন্য বারবার অনুরোধ জানান পরিবারের লোকেরা। তবে তাতেও ফল মেলেনি।
এ দিকে প্রসব বেদনা বেড়েই চলছিল মহিলার। বাধ্য হয়েই মহিলাকে একটি খাটে শুইয়েই হাঁটুজল ভেঙে হাসপাতালের পথে রওনা হন পরিজনেরা। বুধবার মধ্যপ্রদেশের টিকমগড়ের ওই ঘটনার ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পরেই তীব্র সমালোচনা শুরু হয়েছে দেশ জুড়ে।
এর আগেও এমন অব্যবস্থার চিত্র উঠে এসেছে টিকমগড় থেকেই। দু’সপ্তাহ আগেই হাসপাতালের অমানবিকতার জেরে মোটরসাইকেলে করে মায়ের দেহ ময়না-তদন্তে নিয়ে যেতে বাধ্য হন এক যুবক। সাপের কামড়ে মৃত্যু হয়েছিল কুনওয়ার বাই নামে ওই মহিলার। পরিবারের অভিযোগ, জেলা হাসপাতালের তরফে তাঁকে ময়না-তদন্তের ভ্যানে তুলতে আপত্তি জানানো হয়। বাধ্য হয়েই মোটরসাইকেলে মায়ের দেহ নিয়ে যান ছেলে। সে দৃশ্যও ভাইরাল হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়।
এ দিনের ঘটনা নিয়ে পৃথ্বীপুর জেলা হাসপাতালের চিকিৎসক রবি রাওয়তের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, তিনি সে সময়ে হাসপাতালে ছিলেন না। ফলে এ বিষয়ে মন্তব্য করার আগে তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলবেন।