(বাঁ দিকে) দিল্লির বিস্ফোরণস্থল এবং উমর উন নবির সেই ফোর্ড ইকোস্পোর্ট গাড়ি (ডান দিকে)। — ফাইল চিত্র।
হরিয়ানার খাণ্ডওয়ালি গ্রাম থেকে বুধবার তদন্তকারীরা খোঁজ পান একটি লাল রঙের ফোর্ড ইকোস্পোর্ট গাড়ি। দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ডে মূল সন্দেহভাজন উমর-উন-নবির। তদন্তে জানা যায়, খাণ্ডওয়ালি গ্রামে গাড়িটি রেখে এসেছিলেন উমরের আত্মীয় ফাহিম। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার তাঁকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
লালকেল্লার সামনে বিস্ফোরণে উড়ে যাওয়া গাড়িটির চালকের আসনে ছিলেন উমর। ডিএনএ পরীক্ষার পর তা নিশ্চিত করেছেন তদন্তকারীরা। সেই উমরের লাল রঙের ফোর্ড ইকোস্পোর্ট গাড়িটি তাঁদের আতশকাচের নীচে ছিল। ২০১৭ সালের ২২ নভেম্বর দিল্লির রাজৌরি গার্ডেন এলাকা থেকে এই গাড়ির রেজিস্ট্রেশন বা নথিভুক্তিকরণ করা হয়েছিল। অভিযোগ, রেজিস্ট্রেশনের সময় উত্তর-পূর্ব দিল্লির একটি ভুয়ো ঠিকানা ব্যবহার করেছিলেন উমর।
বুধবার খাণ্ডওয়ালি গ্রাম থেকে গাড়িটি উদ্ধার করেন তদন্তকারীরা। অনুমান, দিল্লি বিস্ফোরণের পরে গাড়িটিকে ওই গ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়। গাড়ি উদ্ধারের পরেই হরিয়ানার ওই গ্রামের এলাকা খালি করে দেওয়া হয়। বিশেষজ্ঞদের দিয়ে ভাল করে পরীক্ষা করানো হয় গাড়িটিকে। দিল্লি পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকেরা সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে যাবতীয় টোল বুথ রেকর্ড এবং মোবাইলের টাওয়ার ঘেঁটে হরিয়ানায় গাড়িটির খোঁজ পান।
তবে কে গাড়িটি নিয়ে গিয়েছিলেন, তা স্পষ্ট ছিল না। খোঁজখবর নিয়ে জানা যায়, উমরের আত্মীয় ফাহিমের কাঁধেই গাড়িটি গ্রামে রেখে আসার দায়িত্ব ছিল। সোমবার রাতেই গাড়িটি সেখানে রেখে যান ফাহিম।
দিল্লি বিস্ফোরণের সঙ্গে ওই গাড়ির কী সম্পর্ক ছিল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে তদন্তকারীদের একাংশের দাবি, বিস্ফোরণের জন্য ওই গাড়িটিকে ব্যবহার করার পরিকল্পনা ছিল আততায়ীদের। তদন্তে আরও একটি গাড়ির কথা জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। সূত্রের খবর, তৃতীয় গাড়িটি মারুতি ব্রেজ়া বলে অনুমান। তবে এখনও পর্যন্ত তার খোঁজ মেলেনি। মনে করা হচ্ছে, পালানোর জন্য ওই গাড়িটি ব্যবহার করেছিলেন সন্দেহভাজনেরা।