Rakesh Tikait

‘কলকাতায় চলো’-র ডাক টিকায়েতের

ভারতীয় কিসান ইউনিয়নের নেতা রাকেশ টিকায়েত হুঁশিয়ারি দিলেন, ‘‘আমরা এ বার ট্র্যাক্টর নিয়ে পশ্চিমবঙ্গে যাব।''

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ০৪:৫২
Share:

রাকেশ টিকায়েত। ছবি—পিটিআই।

এর পরের লক্ষ্য কলকাতা!

Advertisement

ভারতীয় কিসান ইউনিয়নের নেতা রাকেশ টিকায়েত হুঁশিয়ারি দিলেন, ‘‘আমরা এ বার ট্র্যাক্টর নিয়ে পশ্চিমবঙ্গে যাব। বাংলার চাষিরাও সঙ্কটের মধ্যে রয়েছেন। আমাদের তাঁদের জন্যও লড়তে হবে।’’

কৃষক সংগঠনগুলির মঞ্চ সংযুক্ত কিসান মোর্চার ডাকে আজ গোটা দেশে চার ঘণ্টা ‘রেল রোকো’ কর্মসূচি পালিত হয়েছে। কৃষক সংগঠনগুলি এতে সাফল্য দাবি করলেও রেল কর্তৃপক্ষের দাবি, গোটা দেশের নিরিখে খুব সামান্যই প্রভাব পড়েছে। মূলত উত্তর ভারতেই প্রভাব চোখে পড়েছে।

Advertisement

আজ টিকায়েতের দাবি, উত্তর ভারতে ফসল তোলার কাজ শেষ হলেই কলকাতা যাত্রা হবে। তার জন্য কৃষকদের তৈরি থাকতেও বলেছেন তিনি। মহাপঞ্চায়েতে তিনি বলেন, ‘‘সরকার ভেবেছিল, চাষিরা এক মাসের মধ্যে বাড়ি ফিরে যাবে। কিন্তু সরকার কৃষকদের ক্ষমতা বুঝতে পারেনি। সরকার যদি ভেবে থাকে, চাষিরা ঘরে ফিরে ফসল কাটবে, তা হলে ভুল করছে। চাষিরা ফসলও কাটবে, প্রতিবাদও করবে। দমনের চেষ্টা করলে আমরা আমাদের ফসল পুড়িয়ে দেব।’’

দিল্লি-উত্তরপ্রদেশে সীমানার গাজিপুরে কৃষক অবরোধ তুলে নেওয়ার জন্য পুলিশ-প্রশাসনের চাপের মুখে কেঁদে ফেলেছিলেন জাঠ কৃষক নেতা টিকায়েত। তার পরেই পশ্চিম উত্তরপ্রদেশ-হরিয়ানার জাঠ বলয়ে নতুন করে কেন্দ্রের কৃষি আইনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। আজ টিকায়েত হরিয়ানার হিসারে কিসান মহাপঞ্চায়েতে গিয়ে বিজেপিকে নিশানা করে বলেছেন, ‘‘শাসক দল নিজের কাজকর্ম না বদলালে চাষিরা ঘরে ফিরবে না। ফসলের দাম বাড়ছে না, কিন্তু জ্বালানির দাম বেড়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার যদি মানুষের জীবনে আরও সমস্যা তৈরি করে, তা হলে আমরা ট্র্যাক্টর নিয়ে পশ্চিমবঙ্গে পৌঁছে যাব। ওখানেও চাষিরা ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বা এমএসপি পাচ্ছেন না।’’

সংযুক্ত কিসান মোর্চার নেতাদের অবশ্য বক্তব্য, কলকাতা-যাত্রা নিয়ে কৃষক সংগঠনগুলির মধ্যে এখনও কোনও কথা হয়নি। টিকায়েত তা বলে থাকলে তা একান্তই তাঁর পরিকল্পনা। আপাতত রেল রোকো কর্মসূচির পরে সরকারের উপরে আরও কী ভাবে চাপ তৈরি করা যায়, তা নিয়েই চিন্তাভাবনা হচ্ছে।

কৃষক সভার নেতা হান্নান মোল্লার বক্তব্য, এ দিন উত্তর ভারতের বাইরেও পশ্চিমবঙ্গ, অন্ধ্র, কর্নাটক, মধ্যপ্রদেশ, তেলঙ্গানা, ওড়িশা, ত্রিপুরা, মহারাষ্ট্রে রেল অবরোধ হয়েছে। আরপিএফ-এর ডিজি অরুণ কুমারের অবশ্য দাবি, মাত্র চারটি ট্রেন বাতিল করতে হয়েছে। খান দশেক ট্রেন অন্য পথে ঘুরিয়ে দিতে হয়েছে। মূলত পঞ্জাব, হরিয়ানা, পশ্চিম উত্তরপ্রদেশ ও রাজস্থানেই এর বেশি প্রভাব পড়েছে। তেমনটাই অনুমান ছিল। ফলে উত্তর রেলের ফিরোজপুর, অম্বালা জোনেই প্রভাব পড়েছে। বাংলা ও বিহারেও রেল অবরোধ হয়েছে। তবে কোথাও কোনও হিংসাত্মক ঘটনার খবর মেলেনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন