Farmers’ March to Delhi

রবিতে ফের ‘দিল্লি চলো’র ডাক কৃষকদের, মিছিল রুখতে তৎপর পুলিশ, শম্ভু সীমানায় নিরাপত্তা বৃদ্ধি

ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য (এমএসপি), কৃষি ঋণ মকুব, পেনশনের ব্যবস্থা এবং বিদ্যুতের বিল না-বাড়ানোর মতো বেশ কয়েকটি দাবিতে দিল্লি অভিযানের ডাক দিয়েছে পঞ্জাব এবং হরিয়ানার কৃষক সংগঠনগুলি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪ ২৩:০৪
Share:

দিল্লি সীমানায় অবস্থানে বিক্ষোভরত কৃষকেরা। ছবি: পিটিআই।

শুক্রবার হরিয়ানার শম্ভু সীমানায় আটকে দেওয়া হয়েছিল কৃষকদের ‘দিল্লি চলো’ অভিযান। পুলিশের কাঁদানে গ্যাসে অসুস্থ হয়ে পড়েন কমপক্ষে ছয় কৃষক। সাময়িক ভাবে পিছু হটলেও কৃষকেরা হুঁশিয়ারি দিয়েই রেখেছিলেন, তাঁরা নিজেদের দাবিদাওয়া নিয়ে দিল্লি যাবেন। শনিবার কৃষক নেতা সরওয়ান সিংহ পান্ধের ঘোষণা করেন, আবার রবিবার তাঁরা ‘দিল্লি চলো’ অভিযান শুরু করবেন। সূত্রের খবর, কৃষকদের কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে শম্ভু সীমানায় নিরাপত্তা আরও আঁটসাঁট করছে পুলিশ-প্রশাসন।

Advertisement

সরওয়ান বলেন, ‘‘কেন্দ্রের তরফে আলোচনার জন্য আমাদের কোনও বার্তা দেওয়া হয়নি। নরেন্দ্র মোদী সরকারের আলোচনা করার কোনও মানসিকতা নেই।’’ তার পরই তিনি নিশ্চিত করেন, সংযুক্ত কিসান মোর্চা (অরাজনৈতিক) এবং কিসান মজদুর মোর্চা রবিবার ১০১ জন কৃষককে নিয়ে শান্তিপূর্ণ ভাবে দিল্লির উদ্দেশে পদযাত্রা শুরু করবে।

ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য (এমএসপি), কৃষি ঋণ মকুব, পেনশনের ব্যবস্থা এবং বিদ্যুতের বিল না-বাড়ানোর মতো বেশ কয়েকটি দাবিতে দিল্লি অভিযানের ডাক দিয়েছে পঞ্জাব এবং হরিয়ানার কৃষক সংগঠনগুলি। গত শুক্রবার কৃষকদের এই কর্মসূচি ঘিরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয় শম্ভু সীমানায়। সীমানা পেরিয়ে কৃষকদের দিল্লি ঢোকার মুখেই আটকায় পুলিশ। ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে ফেলে এলাকা। অম্বালায় বন্ধ করে দেওয়া হয় ইন্টারনেট পরিষেবা। শুক্রবার এই অম্বালা থেকেই দিল্লির উদ্দেশে পদযাত্রা শুরু করেন কৃষকেরা। কিন্তু শম্ভু সীমানায় পৌঁছতেই তাঁদের আটকে দেওয়া হয়। পুলিশ জানিয়েছে, কৃষকদের আর এগোনোর অনুমতি নেই। অশান্তির আশঙ্কায় হরিয়ানার অম্বালায় ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতার (বিএনএসএস) ১৬৩ ধারা জারি করা হয়েছে। ফলে একসঙ্গে পাঁচ জনের বেশি জমায়েত করতে পারবেন না।

Advertisement

কৃষকেরা পুলিশি ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতেই খণ্ডযুদ্ধ শুরু হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশকে কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটাতে হয়। আটক করা হয় বেশ কয়েক জন বিক্ষোভকারী কৃষককে। পুলিশ জানিয়েছে, আগামী ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত ওই এলাকায় ১৬৩ ধারা জারি থাকবে। ফলে রবিবারের অভিযান ঘিরে উত্তেজনা সৃষ্টির আশঙ্কা থাকছে। উল্লেখ্য, এর আগে গত মাসে ১৩ এবং ২১ তারিখও কৃষকেরা দিল্লি যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। তবে দিল্লি ঢোকার আগেই আটকে দেওয়া হয় তাঁদের। রবিবারের কর্মসূচি তাঁদের চতুর্থ বার দিল্লিযাত্রার প্রচেষ্টা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement