আর এস চিমাও তারান্নম চিমা
দায়রা আদালতের রায় খারিজ করে সজ্জন কুমারকে শিখ-বিরোধী দাঙ্গার একটি মামলায় দোষী সাব্যস্ত করেছে দিল্লি হাইকোর্ট।
ওই মামলায় দায়রা আদালত থেকেই সিবিআইয়ের কৌঁসুলি হিসেবে কাজ করেছেন প্রবীণ আইনজীবী আর এস চিমা, তাঁর মেয়ে তারান্নম ও তাঁদের সহযোগী আইনজীবী ডি পি সিংহ। রায়ের পরে আর এস চিমা ও তারান্নম জানাচ্ছেন, শিখ-বিরোধী দাঙ্গায় পুলিশের ভূমিকা ও দীর্ঘ সময় ধরে চলা আইনি প্রক্রিয়ার ফলে সুবিচার পাওয়া কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছিল। একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মামলায় কৌঁসুলি হিসেবে কাজ করেছেন পঞ্জাবের প্রাক্তন অ্যাডভোকেট জেনারেল আর এস চিমা। ২০০৯ সাল থেকে কৌঁসুলি হিসেবে কাজ করছেন তারান্নম। ২০১০ সালে এই মামলায় কাজ শুরু করেন তিনি।
চণ্ডীগড় থেকে ফোনে আর এস চিমা বললেন, ‘‘এই ধরনের গণহত্যায় হয় পুলিশ অপরাধীদের সাহায্য করে বা নিষ্ক্রিয় থাকে। ফলে মূল অপরাধীদের চিহ্নিত করা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়।’’ দিল্লি থেকে তারান্নম জানাচ্ছেন, নিজের স্বামী ও ছেলেকে খুন হতে দেখলেও ল়ড়াই চালিয়ে গিয়েছিলেন রাজনগরের বাসিন্দা জগদীশ কৌর। বহু বার পুলিশ অভিযোগ নিতে অস্বীকার করে। কিন্তু নানাবতী কমিশন-সহ কোনও ক্ষেত্রেই নিজের বক্তব্য পেশ করা থেকে পিছু হটেননি জগপ্রীত।
তারান্নমের কথায়, ‘‘দাঙ্গার সময়ে দিল্লি ক্যান্টনমেন্ট থানায় বলজিৎ কৌর তাঁর বাবা অবতার সিংহের হত্যা সম্পর্কে এফআইআর করেছিলেন। সেই এফআইআরের নম্বর ছিল ৪১৬। আইন না মেনে দিল্লি পুলিশ দাঙ্গা সংক্রান্ত অন্য সব অভিযোগও সেই এফআইআরের সঙ্গে যোগ করতে শুরু করে।’’ তাঁর বক্তব্য, ‘‘দিল্লিতে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে ডেলি ডায়েরি রেজিস্টারে নথিবদ্ধ করার কথা পুলিশের। আমরা আদালতে সেই রেজিস্টার পেশ করে দেখিয়েছি, তাতে ১৯৮৪ সালের ৩১ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত রাজনগর এলাকার কোনও অপ্রীতিকর ঘটনার কথার উল্লেখই নেই।’’ আর এস চিমার বক্তব্য, ‘‘দীর্ঘ সময় ধরে আইনি প্রক্রিয়া চলায় সাক্ষীদের বক্তব্য সম্পর্কে ধোঁয়াশা তৈরি করার চেষ্টা হয়েছে। বলার চেষ্টা হয়েছে, জনতা খুন করেছে। কাউকে চিহ্নিত করা যায়নি।’’
এ দিন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহের বক্তব্য, ‘‘বিচারপ্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করা হয়েছিল। সে জন্যই ওই দাঙ্গার কোনও মামলায় এত দিন কারও সাজা হয়নি।’’