Unnatural Death in Jhansi

‘বাবাই খুন করেছে, মা আত্মহত্যা করেনি!’, এঁকে পুলিশকে বোঝাল ঝাঁসির চার বছরের শিশুকন্যা

মধ্যপ্রদেশের ঝাঁসিতে অস্বাভাবিক মৃত্যুর এই ঘটনায় পুলিশের প্রধান অবলম্বন চার বছরের শিশুর একটি খাতা। যেখানে সে ছবি এঁকে এঁকে দেখিয়েছে, কী ভাবে মাকে অত্যাচার করে বাবা মেরে ফেলেছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০৯:০৮
Share:

(বাঁ দিকে) মৃত তরুণী। তাঁর চার বছরের শিশুকন্যার সেই আঁকা (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।

মায়ের খুনি বাবা! আত্মহত্যার তত্ত্বকে ছবি এঁকে নস্যাৎ করে দিল চার বছরের শিশুকন্যা। মধ্যপ্রদেশের ঝাঁসির এই ঘটনায় পুলিশের প্রধান অবলম্বন ওই খুদের একটি খাতা। যেখানে সে ছবি এঁকে এঁকে দেখিয়েছে, কী ভাবে মাকে অত্যাচার করে বাবা মেরে ফেলেছে। সঙ্গে সে লিখেছে, “বাবাই মাকে খুন করেছে।”

Advertisement

সোমবার সকালে ঝাঁসির কোতোয়ালি এলাকায় অস্বাভাবিক ভাবে মৃত্যু হয় বছর সাতাশের এক গৃহবধূর। সোনালী বুধোলিয়া নামের ওই তরুণীর বাবা-মাকে ফোন করে জানানো হয়, শারীরিক অসুস্থতার পর হঠাৎই গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে মেয়ে। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে। পুলিশ সূত্রে খবর, প্রথমে ঘটনাটিকে আত্মহত্যা বলেই মনে করা হচ্ছিল। কিন্তু তদন্তকারীদের ‘ভুল’ ভাঙিয়ে দেয় চার বছরের শিশুকন্যা।

ওই শিশু পুলিশকে জানায়, বাবা প্রায়ই মাকে মারধর করত। ঘটনার দিন বাবাই মাকে পাথর দিয়ে মাথায় মেরে দেহ ঝুলিয়ে দেয় বলে তদন্তকারীদের জানায় সে। অত্যাচারের বিবরণ তুলে ধরতে নিজের আঁকার খাতাও পুলিশের হাতে তুলে দেয়। তার পরেই তদন্ত অন্য দিকে মোড় নেয়। পুলিশ ওই তরুণীর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। চলছে তদন্ত।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তরুণীর স্বামীর নাম সন্দীপ বুধোলিয়া। তিনি পেশায় ‘মেডিক্যাল রিপ্রেজ়েন্টিটিভ’। ইতিমধ্যে মেয়েকে খুনের অভিযোগ তুলেছে তরুণীর বাড়ির লোকজন। এই প্রসঙ্গে মৃতের বাবা বলেন, “২০১৯ সালে মেয়ের বিয়ে হয়। বিয়ের দিন আমি পণ হিসাবে ২০ লক্ষ টাকা দিয়েছিলাম। তার পর জামাই বলে গাড়ি কিনে দিতে হবে। আমি জানাই, আমার পক্ষে গাড়ি কিনে দেওয়া সম্ভব নয়। তার পর থেকেই মেয়ের উপর অত্যাচার চালাত। এর আগে এক বার পুলিশকে বিষয়টি জানিয়েওছিলাম। সেই সময় আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান হয়েছিল।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement