জলমগ্ন ওড়িশার একটি গ্রাম। ছবি: পিটিআই।
ওড়িশায় সুবর্ণরেখা নদীর জলস্তর রবিবার নেমেছে। তবে বালেশ্বরের ৫০টি গ্রাম এখনও জলমগ্ন। গত তিন দিন ধরে এই জেলার বহু এলাকা সুবর্ণরেখার জলে ডুবে রয়েছে। শনিবার সেখানে জলস্রোতে ভেসে গিয়েছেন এক ব্যক্তি। এখনও তাঁর খোঁজ মেলেনি। স্থানীয়দের অভিযোগ, খাবার, পানীয় জল পাচ্ছেন না তাঁরা। আঙুল তুলেছেন প্রশাসনের দিকে।
ভারী বৃষ্টির কারণে হড়পা বান দেখা দিয়েছে সুবর্ণরেখা নদীতে। তার জেরে বিপর্যস্ত বালেশ্বর জেলা। জেলার চারটি ব্লক- জলেশ্বর, বালিয়াপাল, ভোগরাই, বাস্তা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। বালেশ্বরের সাংসদ প্রতাপ সারেঙ্গির অভিযোগ, ওড়িশাকে না জানিয়েই চান্দিল বাঁধ থেকে অতিরিক্ত জল ছেড়েছে ঝাড়খণ্ড। সে কারণে বাণভাসি বালেশ্বর।
সুবর্ণরেখার জলস্তর আচমকা বেড়ে যাওয়ার কারণে বালেশ্বরের চারটি ব্লকের ৫০ হাজার মানুষ বিপদে পড়েছেন। বিস্তৃত এলাকা জলমগ্ন থাকায় নৌকায় চেপে যাতায়াত করতে বাধ্য হচ্ছে স্থানীয়েরা। অনেককেই সরিয়ে ত্রাণশিবিরে রাখা হয়েছে। উদ্ধারকাজে নেমেছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। ভেঙে পড়েছে বহু বাড়ি। বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, রান্নাঘর জলের নীচে। সে কারণে তাঁরা রান্না করতে পারছেন না। তালাপাড়া গ্রামের এক বাসিন্দা জানিয়েছেন, প্রশাসন থেকে কোনও সাহায্য মিলছে না। প্রায় না খেয়ে দিন কাটছে। টিউবকল জলে ডুবে যাওয়ায় পরিশোধিত পানীয় জলেরও অভাব দেখা দিয়েছে।
প্রশাসনের তরফে যদিও জানানো হয়েছে, লোকালয়ে নদীর জল ঢুকে কত ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে, তার হিসেব নেওয়া হচ্ছে। রবিবার সকালে সুবর্ণরেখার জলস্তর বিপদসীমার নীচে নেমে গিয়েছে। ফলে পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলে আশা করছেন আধিকারিকেরা। তবে নদীর জল চাষের ক্ষেতে ঢুকে পড়েছে। ফলে পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক হতে চার থেকে পাঁচ দিন লাগবে।