ভোটের জন্য মুক্তি পিছোল পর্দার প্রধানমন্ত্রীর

প্রধানমন্ত্রী হিসেবে অভিনয় করে আমি গর্বিত। জীবনে কখনও ভাবিনি সিনেমায় অভিনয় করব।’’

Advertisement
শেষ আপডেট: ১০ মে ২০১৮ ০৫:৩২
Share:

মোদীর মতো: সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া সেই ছবি।

নেহাত কর্নাটকে ভোটের জন্য ছবির মুক্তি পিছিয়ে গেল। তা না-হলে ফিল্মের পর্দায় নতুন প্রধানমন্ত্রী এম পি রামচন্দ্রনকে দেখত গোটা দেশ।

Advertisement

নোটবন্দি নিয়ে তৈরি কন্নড় ছবি ‘স্টেটমেন্ট ৮/১১’-তে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীর চরিত্রে অভিনয়ের জন্য বাড়ি বয়ে এসে কেরলের এই বৃদ্ধকে অনুরোধ করেছিলেন পরিচালক-প্রযোজক। কারণ, নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে তাঁর মুখের সাদৃশ্য। কেরলের মাথিল গ্রাম থেকে ফোনে রামচন্দ্রন বলেন, ‘‘প্রথমে অবশ্য ছবির চিত্রনাট্যে প্রধানমন্ত্রীর উল্লেখই ছিল না। আমার ফোটো দেখেই নাকি ওঁরা চিত্রনাট্যে প্রধানমন্ত্রীর চরিত্রটা ঢোকান। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে অভিনয় করে আমি গর্বিত। জীবনে কখনও ভাবিনি সিনেমায় অভিনয় করব।’’

২৭ এপ্রিল মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল ছবির। তবে ভোটের জন্য তাঁরা মুক্তি পিছিয়ে দিয়েছেন বলে জানালেন পরিচালক আপ্পি প্রসাদ। তিনি বলেন, ‘‘ভোট মিটলে, সম্ভবত এ মাসের শেষে ছবি মুক্তি পেতে পারে।’’

Advertisement

গত বছর কেরলের পায়ান্নুর স্টেশনে অপেক্ষা করছিলেন রামচন্দ্রন। তখনই তাঁর ছবি তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় দেন এক কলেজ ছাত্র। সঙ্গে লেখেন, পায়ান্নুর স্টেশনে প্রধানমন্ত্রী মোদী। আর যায় কোথায়! ট্রেন বেঙ্গালুরু পৌঁছতে না পৌঁছতেই ছবি ভাইরাল! ট্রেন থেকে নামতে গিয়ে ওই বৃদ্ধ হতভম্ব। চিত্রসাংবাদিকেরা অপেক্ষা করছেন তাঁর ছবি তুলবেন বলে। সাদামাঠা জীবন বদলে যাওয়ার সেই শুরু। হঠাৎ খ্যাতি তাঁকে নিয়ে আসে টিভি স্টুডিয়োয়। আসে রুপোলি পর্দার প্রস্তাবও।

মুম্বই, দুবাইয়ে কাজ করার পরে ৫১ বছর বয়সে স্বেচ্ছাবসর নেন রামচন্দ্রন। তারপর থেকেই গ্রামের বাড়িতে থাকেন তিনি। স্ত্রী থাকেন বেঙ্গালুরুতে ছেলের কাছে। তীর্থদর্শনের নেশায় রামচন্দ্রন যান হরিদ্বার, হৃষিকেশ, বারাণসী। আর ঘুরতেই ঘুরতেই ‘মোদী, মোদী’ ডাক শোনার অভিজ্ঞতা, বেশ কয়েক বছর আগেই। বলেন, ‘‘গিয়েছিলাম অযোধ্যায় রামলালার দর্শনে। সেখানে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আধাসেনারা বলতে থাকেন, ‘মোদীজি, মোদীজি...। নরেন্দ্র মোদী তখন গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী। আমাকে যে তাঁর মতো দেখতে হয়েছে, তখন বুঝতে পেরেছিলাম। একবার হরিদ্বারেও হঠাৎ অনেকে মোদীজি মোদীজি বলে ঘিরে ধরেছিলেন। রাস্তাঘাটে, বাজারে বেরোলে অনেকেই মোদীজি মোদীজি বলে এগিয়ে আসেন। খুদেরা সেলফি তুলতে চায়।’’

অভিনয় নিয়ে অবশ্য ভবিষ্যৎ-ভাবনা নেই রামচন্দ্রনের। তিনি বলেন, ‘‘আমি সাধারণ মানুষ। অভিনয়ের সুযোগ পেয়েছি শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে শারীরিক সাদৃশ্যের জন্য। তাই অভিনেতার জীবন আমার জন্য নয়। সাধারণ মানুষ হয়েই থাকতে চাই।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন