Plane Crash in Ahmedabad

অহমদাবাদে বিমান ভেঙে পড়ার পর থেকে নিখোঁজ পরিচালক! ঘটনাস্থল থেকে ৭০০ মিটার দূরে ধরা পড়েছিল মোবাইল টাওয়ার

হেতাল জানিয়েছেন, গত বৃহস্পতিবার দুপুরে কাজের সূত্রেই ল গার্ডেনে এক জনের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন মহেশ। তার পর আর ঘরে ফেরেননি।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৬ জুন ২০২৫ ১৬:২৯
Share:

নিখোঁজ পরিচালক মহেশ কালাওয়াদিয়া। ছবি: সংগৃহীত।

অহমদাবাদের মেঘানিনগরে গত বৃহস্পতিবার ভেঙে পড়েছিল এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান। তার পর থেকে নিখোঁজ গুজরাতের এক পরিচালক। টাওয়ারের অবস্থান অনুযায়ী তাঁর মোবাইলটি শেষ বার ছিল দুর্ঘটনাস্থল থেকে ৭০০ মিটার দূরে। তার পর থেকে মোবাইলে ফোন করেও স্বামীর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি মহেশ কালাওয়াদিয়ার স্ত্রী হেতাল কালাওয়াদিয়া। অগত্যা গুজরাতের সিভিল হাসপাতালে গিয়ে ডিএনএ-র নমুনা দিয়ে এসেছে মহেশের পরিবার। এখন শুধুই অপেক্ষা।

Advertisement

মহলে কালাওয়াদিয়া ওরফে মহেশ জিরাওয়ালা মিউজ়িক ভিডিয়ো পরিচালনা করতেন। তাঁর স্ত্রী হেতাল জানিয়েছেন, গত বৃহস্পতিবার দুপুরে কাজের সূত্রেই ল গার্ডেনে এক জনের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন মহেশ। তাঁর পর আর ঘরে ফেরেননি। হেতালের কথায়, ‘‘বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা ১৪ মিনিটে ফোন করেছিলেন মহেশ। আমাকে জানিয়েছিলেন, ওঁর কাজ হয়ে গিয়েছে। বাড়ি ফিরছেন। কিন্তু বাড়ি না ফেরায় ওঁকে ফোন করি। ওঁর মোবাইল সুইচ্‌ড অফ বলে। এর পর পুলিশ খোঁজ নিয়ে জানতে পারে, দুর্ঘটনাস্থলের ৭০০ মিটার দূরে শেষ বার ওঁর মোবাইলের অবস্থান ধরা পড়েছিল।’’

হেতাল জানিয়েছেন, গত বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা ৪০ মিনিট নাগাদ সুইচ্‌ড অফ হয়ে গিয়েছিল মহেশের মোবাইল। প্রসঙ্গত, ১টা ৩৮ মিনিটে অহমদাবাদের সর্দার বল্লভভাই পটেল বিমানবন্দর থেকে উড়েছিল এয়ার ইন্ডিয়ার সেই বিমান। ওড়ার কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই মেঘানিনগরে ভেঙে পড়ে সেটি। হেতালের দাবি, মেঘানিনগর হয়ে কখনওই বাড়ি ফিরতেন না মহেশ। তাঁর কথায়, ‘‘মহেশের স্কুটার এবং মোবাইল ফোনের হদিস মেলেনি। অদ্ভুত হচ্ছে, ওই পথে (যেখানে মহেশের মোবাইলের টাওয়ারের শেষ অবস্থান ধরা পড়ে) ও বাড়ি ফিরত না। বিমান ভেঙে পড়ে ওঁর মৃত্যু হয়েছে কি না নিশ্চিত হতে আমরা ডিএনএ নমুনা দিয়ে এসেছি হাসপাতালে।’’

Advertisement

এই বিমান দুর্ঘটনায় ২৭০ জনের মৃ্ত্যু হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ২৪১ জন বিমানের আরোহী। বাকিরা মেঘানিনগরে দুর্ঘটনার সময়ে উপস্থিত ছিলেন। বেশির ভাগ দেহ পুড়ে যাওয়ার কারণে শনাক্ত করতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। সে কারণে নিহতদের স্বজনদের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। এ বার ডিএনএ নমুনা দিয়ে এল পরিচালকের পরিবার।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement