করদাতা বৃদ্ধি নিয়েও রইল ধন্দ

কিন্তু এই ‘সাফল্যেও’ খুঁত দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের যুক্তি, এ বছরের সাফল্য পরের বছরেই উবে যেতে পারে। মোদীর নোট বাতিলের সিদ্ধান্তে আদৌ লাভ হয়েছে কি না, তা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তুলে দিয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের রিপোর্ট।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০৪:২৪
Share:

নোট বাতিলে লাভ দেখাতে নরেন্দ্র মোদী-অরুণ জেটলির হাতে প্রমাণ একটিই। তা হল, করদাতার সংখ্যা বৃদ্ধি। অর্থমন্ত্রী জেটলি যুক্তি দিচ্ছেন, নোট বাতিলে আয়করদাতার সংখ্যা বেড়েছে। আয়কর দফতর আজই জানিয়েছে, দেশে মোট চোদ্দো হাজার সম্পত্তি তাদের নজরে রয়েছে। প্রতিটির মূল্য এক কোটি টাকারও বেশি। এই সব সম্পত্তির মালিকেরা কেউই রিটার্ন জমা দেননি বলে অভিযোগ।

Advertisement

কিন্তু এই ‘সাফল্যেও’ খুঁত দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের যুক্তি, এ বছরের সাফল্য পরের বছরেই উবে যেতে পারে। মোদীর নোট বাতিলের সিদ্ধান্তে আদৌ লাভ হয়েছে কি না, তা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তুলে দিয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের রিপোর্ট। স্বাধীনতা দিবসে বক্তৃতায় মোদী দাবি করেছিলেন, ২০১৬-’১৭-য় আয়কর রিটার্ন ফাইলের সংখ্যা ২৪.৭ শতাংশ বেড়েছে। এ বার ২ কোটি ৮২ লক্ষ মানুষ রিটার্ন ফাইল করেছেন। ২০১৫-’১৬ অর্থবর্ষে এই সংখ্যাটা ছিল ২ কোটি ২৬ লক্ষ। অগ্রিম কর আদায়ও প্রায় ৪২ শতাংশ বেড়েছে।

কিন্তু আগামী বছরেই ফের কমে যাবে না তো? এই সংশয়ের কারণ, প্রথমত— গত আর্থিক বছরে মোদী সরকার দু’বার স্বেচ্ছায় কালো টাকা ঘোষণার প্রকল্প চালু করেছিল। তার ফলে আয়করের আওতায় ঢোকে অনেকে। দ্বিতীয়ত—অর্থ মন্ত্রকের একটা অংশই মানছে, কালো টাকার মালিকদের অনেকেই বাড়ির পরিচারিকা, গাড়িচালক, পাহারাদার বা পরিচিত গরিব মানুষের অ্যাকাউন্টে নিজের টাকা জমা করে দিয়েছেন। আয়কর ছাড়ের ঊর্ধ্বসীমা মাথায় রেখে একটি অ্যাকাউন্টে আড়াই থেকে তিন লক্ষ টাকার বেশি জমা পড়েনি। স্বাভাবিক ভাবেই, এই গরিব মানুষগুলিও এ বার রিটার্ন জমা দিয়েছেন। এই প্রথম যাঁরা রিটার্ন জমা দিলেন, তাঁদের সিংহভাগের ‘জন ধন’ অ্যাকাউন্টেই এই কারসাজি করা হয়েছে বলে বিশেষজ্ঞদের সন্দেহ।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement