জিয়ো-কে কেন, প্রশ্ন ছিল অর্থ মন্ত্রকেরও

স্রেফ খাতায়-কলমে থাকা ‘জিয়ো ইনস্টিটিউট অব রিলায়্যান্স ফাউন্ডেশন’-কে দেশের উৎকর্ষ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তালিকায়  ঠাঁই দিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছিল কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ৩০ অগস্ট ২০১৮ ০৫:২৭
Share:

ফাইল চিত্র

জিয়ো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিয়ে বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না কেন্দ্রের। স্রেফ খাতায়-কলমে থাকা ‘জিয়ো ইনস্টিটিউট অব রিলায়্যান্স ফাউন্ডেশন’-কে দেশের উৎকর্ষ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তালিকায় ঠাঁই দিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছিল কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক। এ বার তথ্যের অধিকার আইনে জানা গেল যে, তাতে অর্থ মন্ত্রকের একেবারেই সায় ছিল না। এ নিয়ে এমনকি লিখিত ভাবেও আপত্তি জানিয়েছিল অর্থ মন্ত্রকের ব্যয় দফতর।

Advertisement

গত জুলাইয়ে সেই আপত্তি অগ্রাহ্য করেই অম্বানীদের প্রস্তাবিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে ওই মর্যাদা দেয় নরেন্দ্র মোদীর সরকার। সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে মোট ছ’টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে উৎকর্ষের শিরোপা দেওয়া হয়। কিন্তু অম্বানীদের ওই প্রতিষ্ঠানকেও কেন দিল্লি-মুম্বই আইআইটির সঙ্গে এক করে দেখা হবে, তা নিয়ে স্পষ্ট আপত্তি তুলেছিল অর্থ মন্ত্রকের ব্যয় দফতর। বলা হয়েছিল, এ ভাবে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৈরির আগে তার ‘ব্র্যান্ড ভ্যালু’ বাড়ানোর চেষ্টা প্রতিষ্ঠিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির পক্ষে ক্ষতিকর। তাই মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের পাশে দাঁড়ায়নি তারা। জিয়ো-কে ‘পাইয়ে দেওয়ার’ জেরে দেশে উচ্চ শিক্ষার পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল অর্থ মন্ত্রক। তাদের মতে, কেবল পরিকল্পনা ও নকশার ভিত্তিতে একটি প্রতিষ্ঠান উৎকর্ষের মর্যাদা দেওয়া আদৌ যুক্তিযুক্ত নয়। ওই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্যও প্রকাশ জাভড়েকরের মন্ত্রকের কাছে আবেদন করে অরুণ জেটলির মন্ত্রক।

মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক অবশ্য কোনও আপত্তিই শুনতে চায়নি। তাই গ্রিনফিল্ড বিভাগে উৎকর্ষের শিরোপা পেয়ে যায় রিলায়্যান্স ফাউন্ডেশনের জিয়ো। শেষে প্রবল বিতর্কে পড়ে জাভড়েকর জানান, জিয়োকে আর্থিক সাহায্য দেবে না কেন্দ্র। তিন বছরের মধ্যে দাবিমতো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে না পারলে, জিয়ো-কে দেওয়া মর্যাদাও কেড়ে নেওয়া হবে।

Advertisement

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন