দিল্লি থেকে ইনদওর যাচ্ছিল এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান। —ফাইল চিত্র।
এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে আবার গোলযোগ। দিল্লি থেকে ওড়ার পরেই মাঝ-আকাশে আগুনের সতর্কবার্তা পাওয়া গেল বিমানের একটি ইঞ্জিন থেকে। ককপিট থেকে তড়িঘড়ি ওই ইঞ্জিন বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তার পর বিমানটিকে আবার দিল্লিতে ফেরানো হয়েছে। যাত্রীরা সকলে সুরক্ষিত আছেন বলে জানিয়েছেন বিমান সংস্থার মুখপাত্র।
রবিবার সকালে দিল্লি থেকে ইনদওরে যাচ্ছিল এয়ার ইন্ডিয়ার এআই২৯১৩ বিমান। বিমানবন্দর ছাড়ার কিছু ক্ষণের মধ্যেই ককপিটের বিমানকর্মীরা ডান দিকের ইঞ্জিনে আগুনের সতর্কবার্তা দেখতে পান। দ্রুত সিদ্ধান্ত নেন পাইলট। ডান দিকের ইঞ্জিন বন্ধ করে দেওয়া হয় মাঝ-আকাশেই।
বিমানে সাধারণত দু’টি ইঞ্জিন থাকে। এ ক্ষেত্রে ডান দিকের ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে গেলেও বাঁ দিকের ইঞ্জিনটি সচল ছিল। ফলে আরও কিছু ক্ষণ আকাশে ভেসে থাকতে পেরেছে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানটি। ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন পাইলট। কিছু ক্ষণের মধ্যে দিল্লি বিমানবন্দরে ওই বিমান নিরাপদে অবতরণ করে। যাত্রীদের কোনও ক্ষতি হয়নি। তবে বড়সড় বিপদের হাত থেকে বাঁচলেন তাঁরা। মাঝ-আকাশে যে ভাবে একটি ইঞ্জিনে আগুন ধরে গিয়েছিল, তা যদি ছড়িয়ে যেত, তবে বিপদ ঘটতে পারত। দ্বিতীয় ইঞ্জিনটিতে সামান্যতম কোনও সমস্যাও এ ক্ষেত্রে ডেকে আনতে পারত বিপদ।
ঘটনার পর এয়ার ইন্ডিয়ার মুখপাত্র জানিয়েছেন, সংশ্লিষ্ট বিমানটিকে পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। কেন ইঞ্জিনে সমস্যা হল, আর কোনও সমস্যার সম্ভাবনা আছে কি না, দেখা হচ্ছে। আপাতত ওই বিমানের যাত্রীদের ইনদওরে পৌঁছে দেওয়ার জন্য বিকল্প বিমানের ব্যবস্থা করেছে এয়ার ইন্ডিয়া। যাত্রীদের দুর্ভোগের জন্য সংস্থার তরফে দুঃখপ্রকাশ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১২ জুন অহমদাবাদ থেকে লন্ডন-গ্যাটউইকগামী এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিমান ওড়ার পরেই ভেঙে পড়ে। তাতে যাত্রী, পাইলট, বিমানকর্মী-সহ মোট ২৬০ জনের মৃত্যু হয়। বিমানটি একটি বহুতলে ধাক্কা মেরেছিল। ফলে লোকালয়েও অনেকের মৃত্যু হয় এই দুর্ঘটনায়। তার পর থেকে বার বার এয়ার ইন্ডিয়ার পরিষেবায় নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। রবিবার সকালে একটুর জন্য আরও একটা বিপদ এড়াল তাদের বিমান।