নিজেদের বাঁচাতে প্রাণপণে ছুটছেন বিধায়ক এবং তাঁর নিরাপত্তারক্ষী।
তাঁদের লক্ষ্য করে একের পর এক গুলি ছুটে আসছে। প্রাণপণে ছুটছেন বিধায়ক, তাঁর নিরাপত্তারক্ষী-সহ বেশ কয়েক জন। বৃহস্পতিবার এমনই দৃশ্য ধরা পড়েছে যোরহাটে অসম-নাগাল্যান্ডের দেশোই উপত্যকায়। বরাতজোরে প্রাণে বেঁচেছেন বিধায়ক ও তাঁর নিরাপত্তারক্ষী। তবে এই ঘটনায় আহত হয়েছেন ৩ সাংবাদিক।
দেশোই উপত্যকার সংরক্ষিত অরণ্যে নাগাল্যান্ড থেকে অনুপ্রবেশকারীরা আশ্রয় নিচ্ছে— এমন খবর পেয়ে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বৃহস্পতিবার সেখানে গিয়েছিলেন মারিয়ানির কংগ্রেস বিধায়ক রূপজ্যোতি কুর্মি। তিনি বলেন, “সেখানে পৌঁছতেই আমাদের লক্ষ্য করে গুলি উড়ে আসতে শুরু করে। সেখান থেকে কোনও মতে প্রাণ রক্ষা করে ফিরে আসি।” তাঁর দাবি, ওই এলাকায় অনুপ্রবেশের বিষয়টি এর আগে বিধানসভায় উত্থাপন করেছিলেন। কিন্তু সরকার বিষয়টি নিয়ে কোনও আলোচনাই করেনি।
যোরহাটের পুলিশ প্রধান অঙ্কুর জৈন জানিয়েছেন, যেখানে গুলি চলেছে সেটি একটি সমস্যাবহুল জায়গা। কয়েক দিন আগেও বন দফতর অনুপ্রবেশকারীদের সেখান থেকে সরিয়ে দিয়েছে। অসমের সীমানা লাগোয়া নাগাল্যান্ডের গ্রামবাসীরাই আতঙ্কিত হয়ে গুলি চালিয়েছেন।
এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। তিনি শীর্ষ পুলিশ আধিকারিক জিপি সিংহকে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন। নাগাল্যান্ডের সীমানা লাগোয়া পাঁচটি জেলা রয়েছে— চরাইদেও, শিবসাগর, যোরহাট, গোলাঘাট এবং কার্বি আংলং। গত দু’দশক ধরে এই জেলাগুলোতে নাগাল্যান্ড থেকে অনুপ্রবেশের অভিযোগ উঠছে।