NATIONAL NEWS

পাঁচ রাজ্যে গেল করোনার ওষুধ রেমডেসিভির, কলকাতায় পরের পর্যায়ে

২০ হাজার শিশি মহারাষ্ট্র, দিল্লি ছাড়াও পাঠানো হয়েছে গুজরাত, তামিলনাড়ু ও তেলঙ্গানায়।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২৫ জুন ২০২০ ১৬:৩৮
Share:

রেমডেসিভিরের জেনেরিক ওষুধ কোভিফর কলকাতায় আসছে শীঘ্রই। -ফাইল ছবি।

কোভিড রোগীদের দ্রুত সারিয়ে তুলতে সফল ‘রেমডেসিভির’ (জেনেরিক নাম)-এর ভারতীয় ওষুধ ‘কোভিফর’ বাজারে এসে গেল। এ দেশে এই ওষুধের ব্র্যান্ড নাম কোভিফর। হায়দরাবাদের ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা ‘হেটেরো’-র বানানো ওই ওষুধ প্রাথমিক পর্যায়ে পাঠানো হয়েছে মহারাষ্ট্র, দিল্লি-সহ পাঁচটি রাজ্যে কোভিড রোগীদের চিকিৎসায়। পরবর্তী পর্যায়ে কোভিফর পশ্চিমবঙ্গেও পাঠানো হচ্ছে বলে হেটেরো সূত্রের খবর। এই ওষুধ ভারতে তৈরি ও বাজারে আনার জন্য সরকারি অনুমোদন পেয়েছে হেটেরো।

Advertisement

প্রথম পর্যায়ে কোভিফরের ২০ হাজার শিশি মহারাষ্ট্র, দিল্লি ছাড়াও পাঠানো হয়েছে গুজরাত, তামিলনাড়ু ও তেলঙ্গানায়। হায়দরাবাদের সংস্থা বলেই প্রথম পর্যায়ে যে রাজ্যগুলি কোভিফর পেয়েছে, তাদের মধ্যে রয়েছে দেশের অন্যতম ‘করোনা স্পট’ তেলঙ্গানাও।

হেটেরোর তরফে জানানো হয়েছে, প্রাথমিক ভাবে ওষুধটির ১০০ মিলিগ্রামের শিশি বানানো হয়েছে। যার দাম পড়বে ৫ হাজার ৪০০ টাকা।

Advertisement

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সুপারিশ অনুযায়ী, শিশু ও প্রবীণ কোভিড রোগীদের জন্য প্রথম দিন ওই ওষুধ ২০০ মিলিগ্রাম করে খাওয়াতে হবে। তার মানে, দুই শিশি। তার পর দ্বিতীয় দিন থেকে টানা পাঁচ দিন ধরে রোজ ১০০ মিলিগ্রাম (একটি শিশি) করে ওষুধ খাওয়াতে হবে রোগীদের। এই নিয়ম শিশু ও প্রবীণ দু’ধরনের কোভিড রোগীর ক্ষেত্রই প্রযোজ্য।

ফলে, মোট ৬ দিনে রোগীদের কোভিফর খাওয়াতে হবে মোট ৭০০ মিলিগ্রাম করে। ৬ দিনে ওষুধ বাবদ খরচ পড়বে ৩৭ হাজার ৮০০ টাকা।

আরও পড়ুন- ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত প্রায় ১৭ হাজার, মোট মৃত্যু ১৫ হাজার ছুঁইছুঁই​

আরও পড়ুন- আর শুধুই ইসরো নয়, ভারতে এ বার রকেট বানাতে পারবে বেসরকারি সংস্থাও​

ওষুধ সংস্থা সূত্রের খবর, পরবর্তী পর্যায়ে কোভিফর পাঠানো হচ্ছে কলকাতা, ইনদওর, ভোপাল, লখনউ, পটনা, ভূবনেশ্বর, রাঁচী, বিজয়ওয়াড়া, কোচি, ত্রিবান্দ্রাম ও গোয়ার মতো ১১টি শহরে।

সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর ভামসি কৃষ্ণ বান্দি জানিয়েছেন, ওষুধটি শুধুমাত্র সরকারি হাসপাতাল ও সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতেই পাওয়া যাবে। কোনও রিটেল স্টোরের মাধ্যমে তা বিক্রি করা হবে না।

আগামী তিন সপ্তাহ থেকে এক মাসের মধ্যে কোভিফরের ১ লক্ষ শিশি উৎপাদন ও বাজারে আনতে চাইছে হেটেরো। এখন হায়দারবাদে বানানো হলেও কোভিফরের ঢালাও উৎপাদন বিশাখাপত্তনম থেকে করতে চাইছে বলে ওষুধ সংস্থাটি জানিয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement