সংক্রান্তিতে ভিড় নেই মাছ বাজারে

পৌষ সংক্রান্তিতে মাছের বিক্রি বাড়বে, সেই আশায় থাকেন করিমগঞ্জের ব্যবসায়ীরা। আগে থেকে বরাত দিয়ে বেশি পরিমাণ মাছ নিয়ে আসার ব্যবস্থা করেন করিমগঞ্জ হোলসেল ফিস মার্কেটের ব্যবসায়ীরা। এ বারও তার ব্যতিক্রম হয়নি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৩ জানুয়ারি ২০১৭ ০২:১৭
Share:

পৌষ সংক্রান্তিতে মাছের বিক্রি বাড়বে, সেই আশায় থাকেন করিমগঞ্জের ব্যবসায়ীরা। আগে থেকে বরাত দিয়ে বেশি পরিমাণ মাছ নিয়ে আসার ব্যবস্থা করেন করিমগঞ্জ হোলসেল ফিস মার্কেটের ব্যবসায়ীরা। এ বারও তার ব্যতিক্রম হয়নি।

Advertisement

কাতলা, আইর, চিতল ছিল বাজারে। দিল্লি, পঞ্জাব, কেরল থেকে এসেছে মাছ। কিন্তু জমছে না বাজার। সে জন্য মূলত নোট-সঙ্কটকেই দায়ী করছেন ব্যবসায়ীরা।

করিমগঞ্জ মাছবাজারের সদস্য রবি দেব জানান, এ বার সংক্রান্তির বাজারে মাছের চাহিদা অনেক কম। আজ ছিল মূল বাজার। আগামী কাল হবে ভেলাঘর। সেখানেই রান্না করে চড়ুইভাতি করবেন অনেকে। কিন্তু এ দিন বাজারে ভিড় জমেনি। বিপাকে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা।

Advertisement

রবিবাবু জানান, ৮ কিলোগ্রাম ওজনের কাতলা মাছের দাম প্রতি কিলোগ্রামে ছিল ২৫০ টাকা, চিতল ৭০০, আইর ৭০০-৮০০ টাকা। কিন্তু ওই দামে মাছ কিনতে চাইছেন না বেশিরভাগ ক্রেতাই। তিনি জানান, বছরখানেক আগেও হাইলাকান্দি, ত্রিপুরায় করিমগঞ্জ থেকে মাছ পাঠানো হতো। এখন দু’জায়গাতেই মাছের আড়ত খুলেছে। তাই করিমগঞ্জ মাছবাজারে লেনদেন কমেছে। একই কথা জানান ব্যবসায়ী বাবুল ধর। তিনি বলেন, ‘‘ব্যবসার যা পরিস্থিতি তাতে মহাজনের টাকা মেটানোতেও সমস্যা হতে পারে।’’

পৌষমেলায় পিঠেপুলি। পিঠেপুলি প্রতিযোগিতায় মাতলো হাইলাকান্দির পৌষমেলা। গত সন্ধেয় মেলা প্রাঙ্গণে ভিড় জমল তার আশপাশে। আয়োজকদের আহ্বায়ক মাধবী শর্মা ও লাভী নাথ জানান, মহিলারা পরম্পরাগত পিঠেপুলি তৈরি করেন। সময়সীমা ছিল ৪৫ মিনিট। তার মধ্যে প্রতিযোগীদের তিন রকম পিঠেপুলি তৈরি করতে হয়। বিচারকরা সেরা তিন জনকে বেছে নেন। প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় পুরস্কার পেয়েছেন যথাক্রমে বিজয়িনী চৌধুরী, অপর্ণা রায় এবং নবনীতা শর্মা। প্রতিযোগিতার পর বসে আলোচনাসভা। তাতে অতিথিরা পরম্পরা মেনে পিঠেপুলিকে বাঁচিয়ে রাখার প্রয়াসকে সাধুবাদ জানান। অনুষ্ঠানে মেলা কমিটির কর্তা রাহুল রায়, বরাক উপত্যকা বঙ্গ সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্মেলনের সুদর্শন ভট্টাচার্য, সুশান্ত মোহন চট্টোপাধ্যায়, সন্ধ্যা রায়, ঋতা চন্দ উপস্থিত ছিলেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement