চালানি মাছে ফরম্যালিনের অস্তিত্ব ধরা পড়ায় অন্ধ্রপ্রদেশের মাছ আমদানি বন্ধ করেছে অসম, মণিপুর, নাগাল্যান্ড ও ওড়িশা। এ বার পশ্চিমবঙ্গের মাছের নমুনাও পরীক্ষাগারে পাঠানো হচ্ছে। আজ হাওড়া পাইকারি মাছ ব্যবসায়ী সংগঠনের সম্পাদক সৈয়দ আনোয়ার মকসুদ জানান, শুধু অন্ধ্র নয়, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ থেকে আসা মাছ এবং স্থানীয় মাছের নমুনাও ফরেনসিক পরীক্ষায় পাঠানো হবে।
মাছে ফরম্যালিন মেলার ঘটনার পরে অন্ধ্র সরকার তদন্ত কমিটি গড়েছে। তাদের দাবি ছিল, অন্ধ্রের মাছে ফরম্যালিনের কোনও হদিশ তারা পায়নি। অন্ধ্র সরকারের কর্তারা সন্দেহ প্রকাশ করেন, হাওড়ার মাছ বাজারে ফরম্যালিন মেশানো হচ্ছে। মকসুদ এই সন্দেহ নস্যাৎ করে জানান, অন্ধ্র থেকে মাছ সরাসরি অসমে ঢোকে। তা হাওড়ায় খোলা হয় না। তিনি আরও জানান, রাজস্থান বা মধ্যপ্রদেশের যে বড় আকারের কাতলা অসমে পাঠানো হয়, তা ট্রাকে নয়, ট্রেনে পাঠানো হয়। তাই হাওড়ায় ফরম্যালিন মেশানোর কথা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।
পশ্চিমবঙ্গের মৎস্যমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ নিজে আজ হাওড়ার মাছ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। সিদ্ধান্ত হয়েছে, সন্দেহ নিরসনে আগামীকাল ভিন রাজ্য থেকে পশ্চিমবঙ্গে আসা বিভিন্ন মাছের নমুনা পরীক্ষাগারে পাঠানো হবে। সেই নমুনাতেও ফরম্যালিন মিললে কী হতে পারে? মাছ ব্যবসায়ীদের মতে, অন্ধ্রের মাছ বন্ধ হলে বাঙালির পাতে মাছের টান পড়তে বাধ্য।