রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ।- ফাইল চিত্র।
একই সঙ্গে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের তিন রাজ্যে নতুন রাজ্যপালের নাম ঘোষণা করলেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। ঘোষণা করা হল বিহার, তামিলনাড়ুর নতুন রাজ্যপাল ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের লেফটেন্যান্ট গভর্নরের নামও।
অসমের নতুন রাজ্যপাল হলেন জগদীশ মুখী। আর মেঘালয় রাজভবনে মহিলাঘটিত কেলেঙ্কারির জেরে রাজ্যপাল ভি সন্মুগনাথনের পদত্যাগের পরে যিনি একই সঙ্গে অসম ও মেঘালয়ের রাজ্যপালের দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন, সেই বনোয়ারিলাল পুরোহিতকে করা হল তামিলনাড়ুর রাজ্যপাল। আর মেঘালয়ের রাজ্যপালের দায়িত্ব নিলেন গঙ্গা প্রসাদ। এত দিন নাগাল্যান্ডের রাজ্যপাল পদ্মনাভ বালকৃষ্ণ আচার্য অরুণাচলের রাজ্যপালের বাড়তি দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন। শনিবার ভারত-চিন যুদ্ধের অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার বি ডি মিশ্রকে অরুণাচলের নতুন রাজ্যপাল করা হয়েছে। আর বিহারের নতুন রাজ্যপাল হলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি প্রাক্তন সাংসদ সত্যপাল মালিক। আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের লেফটেন্যান্ট গভর্নরের দায়িত্ব পেলেন অবসরপ্রাপ্ত অ্যাডমিরাল দেবেন্দ্র কুমার জোশী।
আরও পড়ুন- কাঁদছে আকাশ, কাঁদছে মন, আবার এসো মা
আরও পড়ুন- বাবা, তুমি এগিয়ে যাও, আমি আসছি...
১৯৯৩ সালের ২৪ এপ্রিল অমৃতসরে রাজা সানসি বিমানবন্দরে হাইজ্যাকারদের মেরে ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্সের ১২৪ জন যাত্রীকে নিরাপদে উদ্ধার করে আনেন যে ব্ল্যাক ক্যাট কম্যান্ডোরা সেই দলের কম্যান্ডার ছিলেন অরুণাচল প্রদেশের নতুন রাজ্যপাল বি ডি মিশ্র। ১৯৬২ সালে ভারত-চিন যুদ্ধ, ১৯৬৩-৬৪ সালে নাগা জঙ্গিদের বিরুদ্ধে লড়াই, ১৯৬৫ সালের ভারত-পাক যুদ্ধ, ১৯৭১ সালের ভারত-পাক যুদ্ধ, ১৯৮৭-৮৮ সালে জাফনায় এলটিটিই’র সঙ্গে লড়াইয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল মিশ্রের। এমনকী অবসর নেওয়ার পরেও তিনি স্বেচ্ছায় অংশ নিয়েছিলেন কার্গিল যুদ্ধে। সন্ত্রাসদমনে ও যুদ্ধে দীর্ঘ অভিজ্ঞতা সম্পন্ন মিশ্র ইলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ, মাদ্রাজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএসসি, গ্বালিয়র জিয়াজি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি করেছেন। পাঁচ বছর সেনা কলেজে শিক্ষকতাও করেছেন মিশ্র।
অসমের নতুন রাজ্যপাল জগদীশ মুখীর জন্ম অধুনা পাকিস্তানের অন্তর্গত ডেরা গাজি খান প্রদেশে। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাণিজ্যে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি পাওয়ার পর জগদীশবাবু ১৯৭৫ সাল থেকে সক্রিয় রাজনীতি শুরু করেন। জনকপুরী কেন্দ্রে ১৯৮০ সাল থেকে সাত বারের বিধায়ক তিনি। বিভিন্ন সময়ে ছিলেন দিল্লির পরিকল্পনা, শিক্ষা, আবগারি ও অর্থ দফতরের মন্ত্রী। ২০০২ সালে তিনি দেশের সেরা বিধায়কের সম্মান পান। বিহারের প্রবীণ বিজেপি নেতা গঙ্গা প্রসাদ ১৯৯৪ সালে প্রথম বার বিধায়ক হন। ১৮ বছর ধরে বিহারের বিধান পরিষদের সদস্য তিনি।