Odisha Rape Cases

আবার সেই ওড়িশা! মহিলাকে তুলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ, ১০ দিনে তিন জেলায় পাঁচটি ঘটনায় প্রশ্নের মুখে প্রশাসন

বুধবার রাতে এক মহিলাকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ময়ূরভঞ্জ জেলার করঞ্জই গ্রামে। নির্যাতিতা স্থানীয় একটি মন্দির থেকে ফিরছিলেন। তখন তাঁকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৬ জুন ২০২৫ ১৫:১২
Share:

প্রতীকী ছবি।

আবার ওড়িশা। আবার সেই ময়ূরভঞ্জ। এক সপ্তাহের মধ্যে আবার এই জেলাতেই গণধর্ষণের ঘটনায় মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। শুধু তা-ই নয়, পুলিশ এবং প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে। এই নিয়ে গত ১০ দিনে তিন জেলায় পর পর পাঁচটি ধর্ষণের ঘটনা ঘটল ওড়িশায়। তার মধ্যে গঞ্জাম জেলায় দু’টি, ময়ূরভঞ্জ জেলায় দু’টি এবং কেওনঝর জেলায় একটি।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, বুধবার রাতে এক মহিলাকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে করঞ্জই গ্রামে। নির্যাতিতা স্থানীয় একটি মন্দির থেকে ফিরছিলেন। সেই সময় তাঁর পথ আটকে দাঁড়ান তিন ব্যক্তি। মহিলা কিছু বুঝে ওঠার আগেই তাঁর মুখ চাপা দিয়ে জোর করে তুলে নিয়ে যান। তার পর কাছেরই একটি জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ। শুধু তা-ই নয়, মহিলাকে মারধরও করা হয়েছে।

এই ঘটনার পর মহিলা তাঁর বাড়িতে ঘটনাটি জানান। তার পরই পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়। তদন্তে নেমে পুলিশ এক অভিযুক্তকে চিহ্নিত করে। তাঁকে বুধবার রাতেই গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি দু’জনের খোঁজ চলছে। গত ১৯ জুনই ময়ূরভঞ্জে একটি গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। বারিপদায় এক মহিলার বাড়িতে ঢুকে তাঁকে চার জন মিলে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ। সেই ঘটনায় এক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। ওই ধর্ষণের ঘটনার এক সপ্তাহের মধ্যে আবারও গণধর্ষণের ঘটনায় জেলা প্রশাসন এবং পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

Advertisement

১৭ জুন

গঞ্জাম জেলার গোপালপুর সমুদ্রসৈকতে বন্ধুর সঙ্গে উৎসব দেখতে দিয়েছিলেন এক তরুণী। তাঁরা সৈকতে বসে গল্প করছিলেন। সেই সময় ১০ জন এসে তাঁদের ঘিরে ধরেন। তার পর তরুণীর বন্ধুকে মারধর করে বেঁধে রেখে তরুণীকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ। সব অভিযুক্তকেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

১৮ জুন

কেওনঝর জেলার তেঁতলাপাশি গ্রামে এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে ধানখেতের পাশে একটি গাছে কিশোরীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ১৭ জুন থেকে নিখোঁজ ছিল ওই কিশোরী। পুলিশ জানিয়েছে, কিশোরীর দেহে আঘাতের চিহ্ন মিলেছে। পরিবারের অভিযোগ, কিশোরীকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে।

১৯ জুন

ময়ূরভঞ্জ জেলার বারিপদায় বাড়িতে ঢুকে এক মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে চার জনের বিরুদ্ধে। সেই মামলার তদন্ত এখন চলছে। চার জনের মধ্যে এক অভিযুক্ত গ্রেফতার হয়েছেন।

২৫ জুন

গঞ্জাম জেলার ব্রহ্মপুরে এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে এক ক্লিনিক মালিকের বিরুদ্ধে। কিশোরীকে নার্সিং নিয়ে পড়াশোনায় সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement