তুষারে আটকে থাকা পাঁচ সেনা উদ্ধার কাশ্মীরে

তুষারধসে বিপর্যয় কাটার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না কাশ্মীরে। বরং আজ একটি রাস্তা ধসে ফের তুষারে চাপা পড়েছিলেন ৫ সেনা। শেষ পর্যন্ত উদ্ধার করা গিয়েছে তাঁদের। তুষারধসের ফলে বুধবার সন্ধ্যা থেকে ১৪ জন সেনা-সহ মোট ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে কাশ্মীরে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শ্রীনগর শেষ আপডেট: ২৯ জানুয়ারি ২০১৭ ০২:৫৬
Share:

তুষারপাতের মধ্যে দিয়েই...। শনিবার শ্রীনগরে। ছবি: পিটিআই।

তুষারধসে বিপর্যয় কাটার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না কাশ্মীরে। বরং আজ একটি রাস্তা ধসে ফের তুষারে চাপা পড়েছিলেন ৫ সেনা। শেষ পর্যন্ত উদ্ধার করা গিয়েছে তাঁদের।

Advertisement

তুষারধসের ফলে বুধবার সন্ধ্যা থেকে ১৪ জন সেনা-সহ মোট ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে কাশ্মীরে।

গুরেজ সেক্টরে তিন ঘণ্টা তুযারে চাপা পড়ে থেকেও বিস্ময়কর ভাবে বেঁচেছেন মেজর শ্রীহর কুগাজি নামে এক অফিসার।

Advertisement

মছিল সেক্টরে আজ টহলদারিতে বেরিয়েছিল ৫৬ নম্বর রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের একটি দল। তুষারের মধ্যে দিয়ে তৈরি একটি পথ দিয়ে যাচ্ছিলেন জওয়ানরা। হঠাৎই গোটা পথটি ধসে যায়। সেনা কর্তারা জানিয়েছেন, সঙ্গে সঙ্গেই শুরু হয় উদ্ধার অভিযান। বেশ কিছু ক্ষণ চেষ্টার পরে পাঁচ জনকেই খুঁজে পান উদ্ধারকারীরা। তাঁদের চিকিৎসা চলছে।

তুষারধসে এত বেশি জওয়ানের মৃত্যুর জন্য ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সাম্প্রতিক উত্তেজনাও কিছুটা দায়ী বলে মত সেনা কর্তাদের। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিয়ন্ত্রণরেখায় কিছু ‘ফরওয়ার্ড পোস্ট’ প্রতি শীতেই ছেড়ে চলে আসেন জওয়ানরা। কিন্তু উরি হামলা ও সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের পরে সেই ঝুঁকি নেওয়া যায়নি।

এক সেনা কর্তার কথায়, ‘‘বুধবার গুরেজ সেক্টরে যে পোস্ট তুষারধসের কবলে পড়ল তা সাধারণত শীতে ছেড়ে আসা হয়। কিন্তু এ বার তা করা হয়নি।’’ তাঁর মতে, টাংধর, গুরেজ, মাছিল ও কেরনের মতো এলাকায় এই ধরনের অনেক পোস্ট রয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ফের তুষারধস হতে পারে বলে সতর্কতা জারি করেছে‌ জম্মু-কাশ্মীর সরকার। তাই এমন দুর্ঘটনা আরও ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা সেনার। স্থানীয় বাসিন্দাদেরও তুষারধস প্রবণ এলাকায় যেতে নিষেধ করেছে প্রশাসন।

তুষারপাতের ফলে এ দিন আংশিক ভাবে চালু ছিল শ্রীনগর বিমানবন্দর। বিকেল পর্যন্ত আটটি উড়ান নামতে পারলেও তার পরে বিমানবন্দর বন্ধ করে দিতে হয়। ফলে বাতিল হয়েছে আটটি উড়ান। জম্মু-শ্রীনগর জাতীয় সড়ক এখনও বন্ধই।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন