মধ্যরাতে ডেরায় হানা, উদ্ধার শিশু

পুলিশের তৎপরতায় শেষমেশ ঘরে ফিরল অপহৃত শিশু। মঙ্গলবার রাতে উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদের কাছে শহিবাবাদ এলাকায় অভিযান চালিয়ে বছর পাঁচেকের শিশুটিকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০৪:২০
Share:

আশ্রয়ে-ফেরা: উদ্ধার হওয়ার পরে দিল্লিতে মায়ের কোলে অপহৃত শিশুটি। মঙ্গলবার। ছবি: পিটিআই

পুলিশের তৎপরতায় শেষমেশ ঘরে ফিরল অপহৃত শিশু। মঙ্গলবার রাতে উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদের কাছে শহিবাবাদ এলাকায় অভিযান চালিয়ে বছর পাঁচেকের শিশুটিকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।

Advertisement

গোটা দেশ যখন প্রজাতন্ত্র দিবসের জন্য নিরাপত্তার বেষ্টনীতে মোড়া, ঠিক তার এক দিন আগে প্রকাশ্য দিবালোকে পশ্চিম দিল্লির দিলশাদ গার্ডেনের কাছে একটি স্কুল ভ্যান থেকে পাঁচ বছরের শিশুটিকে অপহরণ করেছিল দুষ্কৃতীরা। পরিবারের কাছে ফোন করে চাওয়া হয়েছিল মুক্তিপণও। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সোমবার রাতে উত্তরপ্রদেশের শহিবাবাদে অভিযান চালায় পুলিশ। সেখানে একটি পাঁচ তলা আবাসনের একটি ঘর থেকে উদ্ধার করা হয় শিশুটিকে। পুলিশের সঙ্গে দুষ্কৃতীদের অন্তত ৩০ মিনিট গুলিযুদ্ধ চলে। এক দুষ্কৃতীর মৃত্যু হয়। জখম দুই দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার সকালে শিশুটিকে পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

গত ২৫ জানুয়ারি ১৪ জন পড়ুয়াকে নিয়ে দিল্লির দিলশাদ গার্ডেনের পাশ দিয়ে যাচ্ছিল একটি স্কুলভ্যান। এক পড়ুয়াকে তোলার জন্য ভ্যানটি দাঁড়াতেই মোটরবাইকে করে আসা দুই দুষ্কৃতী বন্দুক নিয়ে হামলা করে। জোর করে ভ্যানে উঠে চালকের মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে অপহরণ করা হয় শিশুটিকে। তার তিন বছরের বোন বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। বাধা দিয়ে পায়ে গুলি খান চালকও।

Advertisement

গত ২৮ জানুয়ারি ৫০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চেয়ে শিশুটির পরিবারকে ফোন করে দুষ্কৃতীরা। সতর্ক ছিল পুলিশও। ফোনের কল ডিটেলস যাচাই করেই অপহরণকারীদের খোঁজ পায় পুলিশ। সোমবার রাত একটা নাগাদ শহিবাবাদে চলে পুলিশি অভিযান। প্রজাতন্ত্র দিবসের ঠিক আগের দিন খাস রাজধানীতে এমন ঘটনা উদ্বেগ বাড়িয়েছিল প্রশাসনের। ছেলেকে ফিরে পাওয়ার খবর মিলতেই মঙ্গলবার সকালে জিটিবি নগর থানায় ছুটে যায় শিশুটির পরিবার। একরত্তি নাতিকে সুস্থ ফিরে পেয়ে পুলিশকে কৃতজ্ঞতা জানাতে ভোলেননি তার দাদু।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন