প্রতীকী ছবি।
ছাদের কিনারা থেকে শূন্যে ঝুলছিলেন তিনি।
ভালবাসায় সম্মতি জানাতেই হবে। না হলেই ছাদ থেকে ঝাঁপ দেবেন। এই বলতে বলতেই পাঁচ তলা অ্যাপার্টমেন্টের ছাদের কিনার থেকে হাত ফস্কে নীচে পড়ে গেলেন হায়দরাবাদের এক ইঞ্জিনিয়ার। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু।
সোমবার সন্ধ্যার ঘটনা, হায়দরাবাদের মিয়াপুরে।
পুলিশ জানাচ্ছে, আদতে ওয়ারাঙ্গল জেলার বাসিন্দা ২৭ বছর বয়সী সফটওয়্যার ই়ঞ্জিনিয়ার জি জগদীশ কর্মসূত্রে থাকতেন কুকাটপল্লির আড্ডাগুড্ডা সোসাইটির একটি অ্যাপার্টমেন্টে। কাজ করতেন মাধাপুরে একটি সফটওয়্যার কোম্পানিতে। গত কয়েক মাস ধরেই তিনি প্রেমে পড়েছিলেন মিয়াপুরের বাসিন্দা এক সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার তরুণীর। রাস্তায় প্রায় প্রতিদিনই তিনি পিছু নিতেন ওই তরুণীর। কিন্তু কিছুতেই সাড়া পাচ্ছিলেন না ওই তরুণীর কাছ থেকে।
আরও পড়ুূন- ‘একসঙ্গে থাকাটা দাম্পত্য জীবনের সব নয়’
মিয়াপুর থানার ইনস্পেক্টর হরিশ্চন্দ্র রেড্ডি জানিয়েছেন, ওই তরুণীর কাছ থেকে কোনও সাড়া না পেয়ে একটা হেস্তনেস্ত করার জেদ চেপে যায় জগদীশের। সোমবার সন্ধ্যায় তিনি সোজা চলে যান মিয়াপুরে। সেখানকার জনপ্রিয় অ্যাপার্টমেন্টে থাকেন ওই তরুণী। অ্যাপার্টমেন্টের গ্রাউন্ড ফ্লোরে গিয়ে কর্মচারীদের কাছে জানতে পারেন, তরুণী রয়েছেন তখন অ্যাপার্টমেন্টের ছাদে। এর পর লিফটের অপেক্ষা না করে সিঁড়ি ধরেই জগদীশ তরতর করে উঠে যান অ্যাপার্টমেন্টের ছাদে। সেখানে গিয়ে জগদীশ তাঁর ভালবাসার প্রস্তাবে ‘হ্যাঁ’ বলার জন্য জোরাজুরি করতে থাকেন ওই সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার তরুণীকে। সাড়া না পেয়ে ছাদের কার্নিশ ধরে ঝুলে ওই তরুণীকে ভয় দেখাতে থাকেন জগদীশ। তা দেখে কিছুটা ভয় পেয়ে অ্যাপার্টমেন্টের কর্মচারীদের ডাকাডাকি শুরু করেন ওই তরুণী। কিন্তু তাঁরা ছাদে উঠে আসার আগেই, কার্নিশ থেকে হাত ফস্কে অ্যাপার্টমেন্টের একেবারে নীচে পড়ে যান জগদীশ। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।
ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৭৪ ধারায় পুলিশ একটি মামলা রুজু করেছে। ময়নাতদন্তের জন্য জগদীশের দেহটি পাঠানো হয়েছে মর্গে।