India-Canada Conflict

নাক গলানো ঠেকাতে সামঞ্জস্য: জয়শঙ্কর

ভারতের কথা মতো ৪১ জন কূটনীতিককে ফিরিয়ে নিয়েছে কানাডা। এ দিকে, বিষয়টি নিয়ে সে দেশের প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোকে তোপ দেগেছেন কনজ়ারভেটিভ পার্টির নেতা পিয়ের পোয়ালিভ্র।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৩ অক্টোবর ২০২৩ ০৮:৩৯
Share:

বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। —ফাইল চিত্র।

ভারতের ব্যাপারে ‘নিয়মিত নাক গলানো’ নিয়ে উদ্বেগের জায়গা থেকেই কানাডার সঙ্গে কূটনৈতিক সামঞ্জস্য রক্ষায় পদক্ষেপ করতে হচ্ছে বলে আজ উল্লেখ করেছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। ভারতের কথা মতো ৪১ জন কূটনীতিককে ফিরিয়ে নিয়েছে কানাডা। এ দিকে, বিষয়টি নিয়ে সে দেশের প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোকে তোপ দেগেছেন কনজ়ারভেটিভ পার্টির নেতা পিয়ের পোয়ালিভ্র। তাঁর বক্তব্য, ‘‘জাস্টিন ট্রুডো ভারতের কাছে, বিশ্বের সব থেকে বড় গণতন্ত্রের কাছে হাসির খোরাক হয়ে উঠেছেন।’’

Advertisement

সে দেশের মাটিতে খলিস্তানপন্থী জঙ্গি হরদীপ সিংহ নিজ্জরের হত্যায় সরাসরি ভারতকে অভিযুক্ত করেছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। সেই ইস্তক দু’দেশের সম্পর্কের টানাপড়েনের সূত্রপাত। বৃহস্পতিবার ভারত থেকে ৪১ জন কূটনীতিককে প্রত্যাহার করার কথা জানিয়েছে কানাডা। ভারতের বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর আজ বলেছেন, ‘‘আসল কথাটা হল সামঞ্জস্যের; একটা দেশে অন্য কোনও দেশের কত কূটনীতিক আছেন আর উল্টো দিকে সেই অন্য দেশটিতে তাদের কূটনীতিক রয়েছেন কত। ভিয়েনা কনভেনশনে সামঞ্জস্য সাধনের যথেষ্ট অবকাশ দেওয়া হয়েছে, আর সেটাই এ ব্যাপারে আন্তর্জাতিক নিয়ম।’’

জয়শঙ্করের বক্তব্য, ‘‘আমাদের দিক থেকে এই সংক্রান্ত সামঞ্জস্যের ব্যাপারে পদক্ষেপের কারণটাই হল, এ দেশের বিষয়ে কানাডার নিরন্তর নাক গলানো নিয়ে যথেষ্ট উদ্বেগের অবকাশ রয়েছে। এ নিয়ে প্রকাশ্যে আমরা বেশি কিছু বলতে চাই না। আমার ধারণা, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আরও নানা কিছু সামনে আসবে আর সবার কাছে স্পষ্ট হতে থাকবে।’’ তিনি জানান, সে দেশে ভারতীয় কূটনীতিকদের নিরাপত্তা পরিস্থিতির উন্নতি হলে কানাডার লোকজনকে ফের ভিসা দেওয়া শুরু হতে পারে।

Advertisement

এ দিকে, ‘নমস্তে রেডিয়ো টরোন্টো’ নামে কানাডার একটি নেপালি চ্যানেলকে সে দেশের প্রাক্তন মন্ত্রী কনজ়ারভেটিভ পার্টির নেতা পিয়ের পোয়ালিভ্র একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। ভারত থেকে কানাডার কূটনীতিকদের সরার পিছনের কারণ হিসেবে ওই সাক্ষাৎকারে তিনি ট্রুডোকেই সর্বতো ভাবে দায়ী করেছেন। তাঁর বক্তব্য, ‘‘ভারত বিশ্বের সব থেকে বড় গণতন্ত্র। আমাদের মতানৈক্য হতে পারে বা আঙুল উঠতে পারে পরস্পরের দিকে। কিন্তু আমাদের সম্পর্কে পেশাদারিত্বটা অন্তত বজায় থাকা দরকার।’’ আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ট্রুডোকে চালনা করছেন বলেও মন্তব্য করেছেন পোয়ালিভ্র।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন