প্রথমে কথা ছিল ডিসেম্বরে ভারতে আসবেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কিন্তু ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সময় নির্ঘণ্ট না মেলায় সেই সফর পিছিয়ে যায়। তখন স্থির হয়, ফেব্রুয়ারি নাগাদ ভারতে আসতে পারেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু কূটনৈতিক সূত্রের খবর, উত্তরপ্রদেশ- সহ পাঁচটি রাজ্যের নির্বাচনের কারণে ফের পিছিয়ে গিয়েছে হাসিনার প্রস্তাবিত ভারত সফর।
তবে এই পরিস্থিতি দু’দেশের সম্পর্কে যাতে ছায়া না ফেলে তা নিশ্চিত করতে ঢাকা যাচ্ছেন বিদেশসচিব এস জয়শঙ্কর।
এ মাসের ২৩ তারিখ থেকে দু’দিনের ঢাকা সফরে জয়শঙ্কর শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করবেন। এপ্রিল মাসে হাসিনা যাতে নয়াদিল্লি আসেন তারও প্রস্তুতিপর্ব সারবেন বিদেশসচিব। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র বিকাশ স্বরূপ আজ জানিয়েছেন, ‘‘জয়শঙ্কর ও বাংলাদেশের বিদেশসচিব মহম্মদ শাহিদুল হক দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলি নিয়ে আলোচনা করবেন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গেও তাঁর সঙ্গে দেখা করার কথা রয়েছে।’’
২০১৯ সালের গোড়ায় বাংলাদেশের ভোট। তার আগে তিস্তা চুক্তি সম্পন্ন করাটা হাসিনার রাজনৈতিক অগ্রাধিকারের মধ্যে পড়ে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আপত্তিতে অনির্দিষ্ট কালের জন্য পিছিয়ে গিয়েছে তিস্তা জলবণ্টনের বিষয়টি। ফলে যত দিন না চুক্তির কাছাকাছি পৌঁছনো যাচ্ছে, বাংলাদেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক ধরে রাখাটা নরেন্দ্র মোদীর সামনে বড় চ্যালেঞ্জ। ক্ষমতায় আসার পর থেকে বাংলাদেশের মাটিতে ভারত-বিরোধী সন্ত্রাসবাদের ঘাঁটি নির্মূল করেছেন হাসিনা। দু’দেশের মধ্যে স্থলসীমান্ত চুক্তি হওয়ায় দীর্ঘদিনের সীমান্ত সমস্যা মিটেছে। তিস্তা নিয়ে অচলাবস্থার সুযোগ নিয়ে চিন যাতে বাংলাদেশকে প্রভাবিত করার চেষ্টা না করতে পারে— সে দিকেও সতর্ক নজর রাখতে সংশ্লিষ্ট অফিসারদের নির্দেশ দিয়েছেন মোদী। জয়শঙ্করের আসন্ন বাংলাদেশ সফর তাই প্রতিবেশী কূটনীতির প্রশ্নে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে চলেছে।