ভারতের বিদেশসচিব বিক্রম মিস্রী। —ফাইল ছবি।
ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধবিরতি নিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ভলোদিমির জ়েলেনস্কির বেনজির বাগ্বিতণ্ডার ঘটনায় শোরগোল গোটা বিশ্বে। শুধু তা-ই নয়, দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় এসে ট্রাম্প যে ভাবে রুশ-প্রীতি দেখিয়েছেন, তা নিয়ে আলোচনা চলছে। সেই আবহেই রাশিয়া সফরে যাচ্ছেন ভারতের বিদেশসচিব বিক্রম মিস্রী। সূত্রের খবর, রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য আরও বৃদ্ধি করতে চাইছে ভারত। বিক্রমের মস্কো সফরে সেই নিয়েই আলোচনার সম্ভাবনা রয়েছ বলে মনে করছেন অনেকে।
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, আগামী ৭ মার্চ অর্থাৎ শুক্রবার মস্কো যেতে পারেন ভারতের বিদেশসচিব। এই সফরে রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে। শুধু তা-ই নয়, সে দেশের অন্যান্য প্রশাসনিক শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গেও বৈঠক করতে পারেন ভারতের বিদেশসচিব। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করতেই এই সফর বলে সূত্রের খবর। এ ছাড়াও, বিশ্বের নানা বিষয়ে আলোচনার সম্ভাবনা রয়েছে। ভারতীয় পণ্য রফতানির বিষয়েও উঠে আসতে পারে বিক্রমের মস্কো সফরে। হতে পারে ইউক্রেন পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনাও।
উল্লেখ্য, রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধে ভারত প্রথম থেকেই ‘নিরপেক্ষ’ থেকেছে। নয়াদিল্লির দাবি, তারা শান্তির পক্ষে। অন্য দিকে, রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের ‘বন্ধুত্বে’র কথা অজানা নয়। অতীতে বিশেষত, জো বাইডেনের সময়ে রাশিয়ার সঙ্গে ‘দূরত্ব’ রাখার জন্য ভারতকে ‘জোর’ দেওয়া হয়েছিল। এমনকি, রাশিয়ার থেকে ভারতে ক্ষেপণাস্ত্র কেনার ব্যাপারেও আপত্তি ছিল হোয়াইট হাউসের। নিষেধাজ্ঞারও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। যদিও ভারত ‘কর্ণপাত’ করেনি। রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য বহাল রেখেছে।
প্রসঙ্গত, ভারত এবং রাশিয়ার মধ্যে বর্তমানে বাণিজ্যের পরিমাণ প্রায় ৬৬ বিলিয়ন ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৬ লক্ষ কোটি টাকা)। রাশিয়া থেকে অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম ছাড়াও, অপরিশোধিত তেল কেনে ভারত। পাশাপাশি রাশিয়ার বাজারেও ভারতীয় পণ্যের চাহিদা রয়েছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর রুশ সফরের সময়ই স্থির হয়, ২০৩০ সালের মধ্যে দুই দেশের বাণিজ্যের পরিমাণ ১০০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছোবে। সব মিলিয়ে ভারতের বিদেশসচিবের রুশ সফর খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহল।