প্রজ্ঞা সিংহ ঠাকুর। —ফাইল চিত্র।
আবার মন্তব্য করে বিতর্কে বিজেপির প্রাক্তন সাংসদ প্রজ্ঞা সিংহ ঠাকুর। ‘লভ জিহাদ’ নিয়ে নানা সময়ে মন্তব্য করা প্রজ্ঞা হিন্দু বাবা-মাদের পরামর্শ দেওয়ার সুরে বলেছেন, মেয়ে যদি অহিন্দু ছেলের সঙ্গে মেলামেশা করতে যান, তাঁকে শাস্তি দিন। ভিন্ধর্মের ছেলের সঙ্গে দেখা করতে গেলে মেয়ের পা ভেঙে দিন। কংগ্রেসের অভিযোগ, এ ভাবে দেশে হিংসা এবং বিদ্বেষের রাজনীতি লালন করছে বিজেপি।
সম্প্রতি ভোপালে একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সেখানকার প্রাক্তন সাংসদ প্রজ্ঞা। সেখানে তিনি জানান, মেয়ে যদি বাবা-মায়ের অমতে কিছু করেন তাঁকে শারীরিক ভাবে শাস্তি দেওয়া দোষের নয়। ওই কথার সূত্র ধরে উদাহরণ দিতে থাকেন তিনি। প্রজ্ঞার কথায়, ‘‘আপনারা মনকে এতটাই শক্তিশালী করুন যাতে, আমাদের মেয়ে আমাদের কথা না মেনে যদি কোনও অহিন্দুর বাড়িতে যায়, তা-হলে তার পা ভেঙে ফেলার আগে দু’বার না ভাবতে হয়।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘যারা মূল্যবোধ মানে না এবং বাবা-মায়ের কথা শোনে না, তাদের শাস্তি পেতেই হবে। যদি সন্তানদের মঙ্গলের জন্য মারধর করতে হয়, তাহলে পিছপা হবেন না। যখন কোনও বাবা-মা এই ধরনের কাজ করেন, তখন তা সন্তানদের ভাল ভবিষ্যতের জন্যই করেন। তাঁরা তো দেখতে চান না যে, সন্তানকে কেউ টুকরো টুকরো করে কেটে ফেলে দিয়েছে।’’
এখানেই শেষ নয়, ভিন্ধর্মের যুবক-যুবতী বা তরুণ-তরুণীর সম্পর্ক নিয়ে বলতে গিয়ে মহিলাদের দোষারোপ করেছেন প্রজ্ঞা। তিনি বলেন, ‘‘এই ধরনের মেয়েদের মূল্যবোধ নেই, এরা বাবা-মায়ের কথা শোনে না, বড়দের সম্মান করে না এবং বাড়ি থেকে পালিয়ে যেতেও এরা প্রস্তুত... তাই এদের প্রতি সজাগ দৃষ্টি রাখুন। তাঁদের বাড়ি থেকে বার হতে দেবেন না। মারধর করে, বুঝিয়ে, শান্ত করে, ভালোবাসা দিয়ে বা তিরস্কার করে— যে ভাবেই হোক থামান।’’
প্রজ্ঞার ওই বার্তার ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে সমাজমাধ্যমে। শুরু হয়েছে চর্চা। প্রজ্ঞার মন্তব্যের সমালোচনা করে কংগ্রেস মুখপাত্র ভূপেন্দ্র গুপ্ত বলেন, ‘‘মধ্যপ্রদেশে সাতটি মামলায় (ধর্মান্তরিতকরণের অভিযোগে) সাজা হয়েছে। তার পরেও কেন এত গোলমাল এবং ঘৃণা ছড়ানো হচ্ছে?’’