প্রাক্তন আমলার সূত্রেই ‘উৎকর্ষ’ তকমা জিয়োর!

মোদী সরকারের জমানায় দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির মানোন্নয়ন নিয়ে কিছু পদক্ষেপ করে কেন্দ্রীয় সরকার। কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে উৎকর্ষের মর্যাদা দেওয়া হবে, তার রূপরেখা ২০১৫-১৬ সালে তৈরি করেছিলেন তৎকালীন মানবসম্পদ উন্নয়ন সচিব বিনয় শীল ওবেরয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩১ অগস্ট ২০১৮ ০৪:১১
Share:

মুকেশ অম্বানীর জিয়ো বিশ্ববিদ্যালয়কে তার জন্মের আগেই ‘উৎকর্ষ প্রতিষ্ঠান’ হিসেবে ঘোষণা করা এবং তার জন্য ১০০ কোটি টাকা অনুদান দেওয়া বিতর্কে নতুন মাত্রা যোগ হল। নরেন্দ্র মোদী সরকারের প্রাক্তন মানবসম্পদ উন্নয়ন সচিব বিনয় শিল ওবেরয় অবসরের পরেই মুকেশ অম্বানীর রিলায়্যান্সে যোগ দিয়েছেন। মন্ত্রকের ভিতরের খবর রিলায়্যান্সের কাছে ফাঁস করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল ওবেরয়ের বিরুদ্ধে।

Advertisement

মোদী সরকারের জমানায় দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির মানোন্নয়ন নিয়ে কিছু পদক্ষেপ করে কেন্দ্রীয় সরকার। কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে উৎকর্ষের মর্যাদা দেওয়া হবে, তার রূপরেখা ২০১৫-১৬ সালে তৈরি করেছিলেন তৎকালীন মানবসম্পদ উন্নয়ন সচিব বিনয় শীল ওবেরয়। মোদী ক্ষমতায় আসার পরে বিনয় ওবেরয় ওই পদে আসেন। অবসরের পরে সেই ওবেরয়ই ২০১৮ সালে জিয়ো বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম কর্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠানের সামগ্রিক পরিকল্পনা কেন্দ্রের কাছে জমা দেন!

তথ্যের অধিকার আইনে জানা গিয়েছে, কী ‌ভাবে এ দেশে বিশ্বমানের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা যায়, তা নিয়ে ২০১৫-র ন‌ভেম্বরে মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী সচিবালয়ের কর্তারা। দফায় দফায় বৈঠকের পরে ঠিক হয়, দেশের ১০টি সরকারি ও ১০টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে উৎকর্ষের মর্যাদা দেবে কেন্দ্র। সূত্রের খবর, এর পরে প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয় এবং মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক এ নিয়ে একাধিক বার বৈঠকে বসে এবং রূপরেখা তৈরি করে। সে সময় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) কয়েকটি ধারা বদলের জন্য একাধিক প্রস্তাব পেশ করেন ওবেরয়। সেগুলি প্রায় সবই বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির সুবিধার্থে। নানা পর্যায়ে বৈঠকের পরে সেই সব প্রস্তাবের অনেকগুলিই মানা হয়। ২০১৭-র ফেব্রুয়ারিতে সব বিষয় চূড়ান্ত হয়। তার পরেই তৈরি হয় এই সংক্রান্ত চূড়ান্ত খসড়া। ওই মাসেই ওবেরয় অবসর নেন। চলতি বছর এপ্রিলে জিয়ো বিশ্ববিদ্যালয় যখন উৎকর্ষ
প্রতিষ্ঠান হিসেবে আবেদন করে, তখন তার অন্যতম কর্তা ওবেরয়। এই সূত্রেই অভিযোগ উঠেছে, মন্ত্রকের ভিতরের তথ্য ফাঁস করে জিয়োকে সাহায্য করেছেন ওবেরয়। যদিও বর্তমান কেন্দ্রীয় শিক্ষা সচিব আর সুব্রহ্মণ্যমের দাবি, উৎকর্ষ নীতি তৈরির সময়ে বিনয় ওবেরয় সচিব ছিলেন না।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement