Prajwal Revanna

জেলের গ্রন্থাগারে করণিক হলেন ধর্ষণের আসামি রেভান্না! দৈনিক কত টাকা মজুরি পাবেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর নাতি, কী কী দায়িত্ব

সংশোধনাগার সূত্রে খবর, রেভান্না প্রশাসনিক কোনও কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকতে চেয়েছিলেন। কিন্তু কারা কর্তৃপক্ষ তাঁকে গ্রন্থাগারে কাজের দায়িত্ব দেন।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৬:০৪
Share:

ধর্ষণের মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত প্রজ্জ্বল রেভান্না। —ফাইল চিত্র।

জেলে গ্রন্থাগারের করণিক হিসাবে কাজ পেলেন ধর্ষণের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত প্রাক্তন সাংসদ প্রজ্জ্বল রেভান্না। পরিচারিকাকে ধর্ষণের মামলায় গত মাসেই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচডি দেবগৌড়ার নাতি তথা প্রাক্তন জেডি (এস) নেতা রেভান্নাকে দোষী সাব্যস্ত করে কর্নাটকের বিশেষ আদালত। তার পর থেকে তিনি রয়েছেন বেঙ্গালুরুর পারাপ্পানা অগ্রহার কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে। রবিবার জেল আধিকারিক সূত্রে জানা যায়, সংশোধনাগারের গ্রন্থাগারে করণিকের কাজ পেয়েছেন রেভান্না।

Advertisement

বেঙ্গালুরুর ওই সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, কোনও বন্দি সংশোধনাগার থেকে বই নিতে চাইলে, তাঁকে সেই বই দেওয়ার দায়িত্ব থাকবে রেভান্নার উপর। কে, কবে, কোন বই গ্রন্থাগার থেকে নিচ্ছেন, কবে ফেরত দিচ্ছেন, সেই হিসাবও রাখতে হবে প্রাক্তন সাংসদকে। জেলের এক আধিকারিক সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন, নির্দিষ্ট দায়িত্ব পালন করার পরে প্রতিদিন ৫২২ টাকা করে মজুরি পাবেন রেভান্না। ওই আধিকারিক আরও জানান, জেলের নিয়ম অনুসারে, যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের কিছু না কিছু কাজ করতে হয়। কাকে কোন কাজের দায়িত্ব দেওয়া হবে, তা নির্ভর করে প্রত্যেকের দক্ষতা এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি সেই কাজে ইচ্ছুক কি না, তার উপর। যদিও শেষ পর্যন্ত কর্তৃপক্ষই এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেন।

সংশোধনাগারের ওই সূত্র জানিয়েছে, রেভান্না প্রশাসনিক কোনও কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকতে চেয়েছিলেন। কিন্তু কারা কর্তৃপক্ষ তাঁকে গ্রন্থাগারে কাজের দায়িত্ব দেন। ইতিমধ্যে জেলের গ্রন্থাগারের করণিক হিসাবে একদিন কাজ করেছেন রেভান্না। সাধারণত বন্দিদের মাসে কমপক্ষে ১২ দিন (সপ্তাহে তিন দিন) করে কাজ করার কথা।

Advertisement

কর্নাটকের হাসান জেলায় একটি খামারবাড়িতে পরিচারিকাকে আটকে রেখে বার বার ধর্ষণ করার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। ওই সময়ের ছবি এবং ভিডিয়ো তুলে রেখে পরে নির্যাতিতাকে হুমকি দেওয়া থেকে শুরু করে নানাবিধ অভিযোগ আনা হয়েছিল প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর নাতির বিরুদ্ধে। কর্নাটক পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গত এপ্রিল মাসে প্রজ্জ্বলের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দিয়েছিল। এর পরে গত অগস্টের শুরুতে তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত।

গত লোকসভা ভোটে হাসনে জেডি (এস)-এর টিকিটে প্রার্থী হয়েছিলেন রেভান্না। সেখানে ভোটের আগে একটি পেনড্রাইভ প্রকাশ্যে আসে। ওই পেনড্রাইভে রেভান্নার যৌন হেনস্থার একাধিক ভিডিয়ো ছিল বলে অভিযোগ। সেই ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়তেই দেবগৌড়ার নাতিকে দল থেকে বহিষ্কার করে জেডি (এস)।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement