বছর তিনেক আগে তিনি ছিলেন চিরাং জেলার বেংতল কলেজের অধ্যাপক। কিন্তু বড়ো আন্দোলনের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে অধ্যাপনার জগৎ থেকে সরে যান তিনি। সেই রঞ্জিৎ বসুমাতারি এখন সংগ্রামপন্থী এনডিএফবির সাধারণ সম্পাদক ফেরেঙা!
সংগঠনের প্রাক্তন প্রধান সংবিজিৎকে পদ থেকে সরানোর পরে জি বিদাই এখন দল সামলাচ্ছেন। উচ্চশিক্ষিত ফেরেঙাকে দলের সাধারণ সম্পাদক করে দেওয়ার পাশাপাশি মায়ানমারে সামরিক প্রশিক্ষণ নিতেও পাঠান বিদাই। আপাতত ফেরেঙা সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সেনাধ্যক্ষের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। সেই সঙ্গে চেপেছে তোলা আদায়ের অতিরিক্ত ভার। সে জন্য অভিনব পথ নিয়েছিলেন ফেরেঙা। ফেসবুকে দু’টি ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খুলে উত্তর-পূর্বের তরুণদের মগজ ধোলাই করছিলেন তিনি। দলে টেনেছিলেন আরও কয়েক জন কলেজ শিক্ষককে। খবর পেয়ে ফেরেঙার অনুগামী দুই শিক্ষক, এক তোলা আদায়কারী এবং ফেরেঙার স্ত্রীকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বড়োভূমির দায়িত্বপ্রাপ্ত আইজি এল আর বিষ্ণোই জানান, রাফোদুই বসুমাতারি ও রাফৌদ বডোসা নাম দিয়ে দু’টি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খোলেন তিনি। দলে টানেন পিঙ্কুশ নার্জারি নামে এক যুবককে। তার উপরে বড়োভূমির বিভিন্ন কলেজ ও স্কুল থেকে ৫০ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকা করে তোলা আদায়ের ভার দেন ফেরেঙা। জানতে পেরে পুলিশ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে তোলা দিতে মানা করে। বিষ্ণোই জানান, পুলিশ মানা করলেও অনেকে স্বেচ্ছায় এনডিএফবিকে টাকা দিয়েছে।