Coal Scam

দু’দশক আগের কয়লা কেলেঙ্কারিতে দোষী সাব্যস্ত বাজপেয়ী জমানার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী

সাজার মেয়াদ নিয়ে শুনানি আগামী ১৪ অক্টোবর।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৬ অক্টোবর ২০২০ ১৮:১৬
Share:

প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দিলীপ রায়। —ফাইল চিত্র

প্রায় দু’দশক আগের কয়লা কেলেঙ্কারিতে দোষী সাব্যস্ত হলেন বাজপেয়ী জমানার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দিলীপ রায়। ওড়িশার এই বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে ১৯৯৯ সালে ঝাড়খণ্ডে কয়লার ব্লক বণ্টনে বেনিয়ম প্রমাণিত হয়েছে। অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র-সহ একাধিক ধারায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন দিলীপ। তাঁর সঙ্গে মন্ত্রকের তৎকালীন দুই আধিকারিক ও দু’টি বেসরকারি সংস্থাকে দোষী সাব্যস্ত করেছে দিল্লির বিশেষ সিবিআই আদালত। সাজার মেয়াদ নিয়ে শুনানি আগামী ১৪ অক্টোবর।

Advertisement

মন্ত্রী দিলীপ রায়ের সঙ্গে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন কয়লা মন্ত্রকের তৎকালীন আধিকারিক প্রদীপকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় ও নিত্যানন্দ গৌতম। এ ছাড়া ক্যাসট্রন টেকনোলজিস লিমিটেডের ডিরেক্টর মহেন্দ্রকুমার আগরওয়ালের অপরাধও প্রমাণিত হয়েছে সিবিআই আদালতে। তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়েছে ১২০ বি (অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র), ৪২০ (প্রতারণা), ৪০৯ (অপরাধের উদ্দেশে বিশ্বাসভঙ্গ)-এর মতো ধারায়। সিবিআই আদালতের বিচারক ভারত পরাশরের পর্যবেক্ষণ, ‘‘দেশের গুরুত্বপূর্ণ প্রাকৃতিক সম্পদের বণ্টনে অসঙ্গতি ও অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র ছিল।’’

এই মামলায় দিলীপ রায়ের ভূমিকা কী ছিল? বিচারক জানিয়েছেন, অসৎ ও পরিকল্পিত উদ্দেশ্য নিয়ে আইন ভঙ্গ করেছেন দিলীপ রায়। এটা স্পষ্ট যে, দিলীপ রায় অসৎ ও বেআইনি ভাবে গিরিডির ওই কয়লার ব্লক সিটিএল সংস্থাকে পাইয়ে দিয়েছেন।

Advertisement

আরও পড়ুন: ‘বিরল এবং ভয়ঙ্কর’, হাথরস কাণ্ড নিয়ে বলল সুপ্রিম কোর্ট

আরও পড়ুন: মাদক মামলায় জেল হেফাজতের মেয়াদ বাড়ল রিয়ার

বাজপেয়ী জমানায় কয়লা মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন দিলীপ রায়। ১৯৯৯ সালে ঝাড়খণ্ডের একাধিক কয়লা ব্লক বণ্টনে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। তার মধ্যে ১৯৯৯ সালে গিরিডির ব্রহ্মডিহা ব্লক থেকে কয়লা উত্তোলনের বরাত পায় সিটিএল। অভিযোগ ওঠে, মোটা টাকা ঘুষের বিনিময়ে সিটিএল-কে পাইয়ে দেওয়া হয়েছিল ওই কয়লার ব্লক। দিলীপ রায়ই এনডিএ জমানার এমন মন্ত্রী যিনি প্রথম কয়লা কেলেঙ্কারিতে দোষী সাব্যস্ত হলেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন