ভাই শৌভিকের সঙ্গে রিয়া চক্রবর্তী।
এ বারেও ছাড়া পেলেন না রিয়া চক্রবর্তী। আগামী ২০ অক্টোবর পর্যন্ত জেল হেফাজতেই থাকতে হবে তাঁকে। মঙ্গলবার মাদক মামলা সংক্রান্ত বিশেষ আদালত (এনডিপিএস) রিয়ার জেল হেফাজতের মেয়াদ আরও ১৪ দিন বাড়িয়ে দেয়। একই সঙ্গে তাঁর ভাই শৌভিক চক্রবর্তীর জেল হেফাজতের মেয়াদও বাড়ান হয়েছে। যদিও ইতিমধ্যেই বম্বে হাইকোর্টে জামিনের আবেদন জানিয়েছেন রিয়া এবং শৌভিক।
সুশান্ত সিংহ রাজপুতের মৃত্যুতে মাদক কাণ্ডে গত ৯ সেপ্টেম্বর রিয়াকে গ্রেফতার করে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি)। সে বারও তাঁর ১৪ দিনের জেল হয়। রিয়া জামিনের আবেদন করলে তা খারিজ করে দেয়। গত ২২ সেপ্টেম্বর রিয়ার জেল হেফাজতের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় পুনরায় আবেদন করে এনসিবি। সে বারেও ম্যাজিস্ট্রেট তাঁর আরও ১৪ দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজত মঞ্জুর করে। এ দিন তা শেষ হয়ে যাওয়ায় ফের মেয়াদ বৃদ্ধির আবেদন করে এনসিবি। আর তাতেই তৃতীয় দফায় রিয়ার আরও ১৪ দিনের জেল হেফাজত হয়।
গত ১৪ জুন সুশান্ত সিংহ রাজপুতের মৃত্যুর পর থেকেই নেটাগরিকদের বেশিরভাগের চোখে কার্যত ‘দোষী’ হয়ে যান রিয়া। সুশান্তের পরিবার রিয়ার নামে এফআইআর দায়ের করলে ঘটনার অভিমুখ রাতারাতি ঘুরে যায়। শুরুতে মুম্বই পুলিশের হাতে সুশান্ত মৃত্যুর তদন্তভার থাকলেও তা পড়ে বিহার পুলিশের হাত ঘুরে কেন্দ্রের নির্দেশে সিবিআইয়ের হাতে যায়। রিয়ার বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপের অভিযোগ উঠলে তদন্তে সামিল হয় আর এক কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডি।
আরও পড়ুন- খড়কুটোর তিনকন্যা রিয়েল লাইফেও প্রাণবন্ত, সামনে এল নাচের ভিডিয়ো
এর পর প্রয়াত অভিনেতার মৃত্য়ুতে মাদক যোগও সামনে আসে। রিয়ার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের সূত্র ধরেই বিষয়টি সামনে আসে বলে জানা যায়। তা নিয়ে তদন্তে নেমে রিয়ার ভাই শৌভিক চক্রবর্তীকে ৪ সেপ্টেম্বর গ্রেফতার করে এনসিবি। গ্রেফতার করা হয় সুশান্তের দুই কর্মচারীকেও। জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় দীপিকা পাড়ুকোন, সারা আলি খান, রাকুল প্রীত এবং শ্রদ্ধা কপূরকেও।
যদিও দিন কয়েক আগে এমসের চিকিৎসক দল দ্বিতীয়বার সুশান্তের ভিসেরা পরীক্ষা করে জানান, তাঁকে খুন করা হয়নি। তিনি আত্মহত্যা করেছেন। এমসের রিপোর্ট নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে সুশান্তের পরিবার। সুশান্তের পরিবারের তরফে তাঁদের আইনজীবী বিকাশ সিংহ টুইটে লিখেছেন, “‘‘কী করে নিশ্চিত ভাবে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছল এমস! বিশেষ করে যেখানে তারা নিজেরা ময়না-তদন্ত করার সুযোগ পায়নি এবং মুম্বইয়ের হাসপাতালের করা খুব খারাপ ময়না-তদন্তের ভিত্তিতে তাদের রিপোর্ট তৈরি করেছে।’’ আইনজীবীর দাবি, সিবিআই নতুন ফরেন্সিক দল গঠন করে তাদের নতুন করে তদন্তের দায়িত্ব দিক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy