সোনার কাজ করতে যাওয়া এক বাঙালি যুবক, তাঁর স্ত্রী ও দুই সন্তানের অস্বাভাবিক হল সেকেন্দরাবাদে। শুক্রবার রাতে সেকেন্দরাবাদের ভাড়াবাড়ি থেকেই তাঁদের দেহ উদ্ধার করে মহানকালী থানার পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশের অনুমান, আর্থিক সমস্যার জেরে ওই যুবক সপরিবার আত্মহত্যা করেছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, দরজা ভেঙে স্বরূপগোপাল দাস (৩৭), স্ত্রী দীপালি (৩০) মেয়ে তিতলি (৭) এবং দম্পতির পাঁচ মাসের ছেলের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। তাঁরা আদতে হাওড়ার ডোমজুড়ের ফোকোর দোকান এলাকার ঘোষপাড়ার বাসিন্দা। খবর পেয়ে শনিবার রাতে সেকেন্দরাবাদ রওনা হন স্বরূপের পরিজনেরা।
সেকেন্দরাবাদ পুলিশ সূত্রের খবর, শুক্রবার স্বরূপের পরিচিত স্থানীয় এক ব্যবসায়ী মহানকালী থানায় জানান, বারবার তাঁকে ফোন করলেও সাড়া মিলছে না। ওই রাতেই পুলিশ স্বরূপের বাড়ি থেকে দেহ উদ্ধার করে।
মহানকালী থানার তদন্তকারী আধিকারিক বলেন, ‘‘চার জনকেই মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। সকলেরই মুখ দিয়ে গ্যাঁজলা বেরোচ্ছিল। মনে হয় বিষ খেয়েছেন।’’ তবে কোনও সুইসাইড নোট মেলেনি বলেই দাবি পুলিশের। স্বরূপের একটি ডায়েরি থেকে নম্বর পেয়ে ওই রাতেই খবর জানানো হয় ডোমজুড়ে।