দিল্লিতে খুন রক্ষী-সহ পাঁচ

সকালে স্থানীয় থানায় খবর যায়, এলাকার তেলের ব্যবসায়ী জিন্দল পরিবারের পৈতৃক বাড়িতেই এই খুন হয়েছে। পরে পুলিশ গিয়ে ওই বাড়িরই দোতলার একটি ঘর থেকে বৃদ্ধা ঊর্মিলা জিন্দল (৮২) ও তাঁর তিন মেয়ে— সঙ্গীতা গুপ্ত (৫৬), নূপুর জিন্দল (৪৮) ও অঞ্জলি জিন্দল (৩৮)-এর গলাকাটা দেহ উদ্ধার করেছে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৮ অক্টোবর ২০১৭ ০৩:৪৪
Share:

প্রতীকী ছবি।

সকাল ৭টা বেজে ১৫ মিনিট। তখনও ঘুম ভাঙেনি গোটা এলাকার। তার মধ্যেই সেখানকার ব্যবসায়ী পরিবারের চার মহিলা ও বাড়ির রক্ষীর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হওয়ায় চাঞ্চল্য ছড়ায় দিল্লির শাহদারার মানসরোবর পার্কে। ঘটনার সময় বাড়িটির বাকি বাসিন্দারা ঘুমিয়ে থাকায় কিছু টের পাননি বলে দাবি।

Advertisement

সকালে স্থানীয় থানায় খবর যায়, এলাকার তেলের ব্যবসায়ী জিন্দল পরিবারের পৈতৃক বাড়িতেই এই খুন হয়েছে। পরে পুলিশ গিয়ে ওই বাড়িরই দোতলার একটি ঘর থেকে বৃদ্ধা ঊর্মিলা জিন্দল (৮২) ও তাঁর তিন মেয়ে— সঙ্গীতা গুপ্ত (৫৬), নূপুর জিন্দল (৪৮) ও অঞ্জলি জিন্দল (৩৮)-এর গলাকাটা দেহ উদ্ধার করেছে। সেই সঙ্গে এক তলার সিঁড়ির কাছেই বাড়ির রক্ষীর রাকেশ (৪২)-এরও দেহ মিলেছে।

শাহদারার ডিসিপি নূপুর প্রসাদ জানান, ওই পরিবারের সাতটি শরিক। তার মধ্যে রয়েছেন ঊর্মিলাদেবীরাও। কয়েক বছর আগে মারা গিয়েছেন তাঁর স্বামী। তিন মেয়েকে নিয়ে ওই পরিবারের পৈতৃক বাড়িতে থাকতেন ঊর্মিলাদেবী। নিজেদের ভাগের সম্পত্তির কিছু অংশ ভাড়া দিয়ে সংসার চলতো তাঁদের। ঘটনাস্থল থেকে একটি ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। সেটি ব্যবহার করেই পাঁচ জনকে খুন করা হয়েছে বলে ধারণা তদন্তকারীদের। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, খুনি ওই পরিবারের পরিচিতই। কারণ জোর করে বাড়িতে ঢোকার কোনও রকম চিহ্ন মেলেনি। এমনকী ঘর থেকে কোনও মূল্যবান জিনিসপত্রও খোয়া যায়নি।

Advertisement

যদিও কী কারণে বা কে এই খুন করেছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে তদন্তকারীদের ধারণা, পারিবারিক সম্পত্তি নিয়ে বিবাদের জেরেই এই খুন। নিহতদের এক জনের বন্ধুর দাবি, দিন কয়েক আগে থেকেই সম্পত্তি নিয়ে বিবাদ চলছিল ওই পরিবারটিতে। তবে জিন্দল পরিবারের এক সদস্যের কথায়, ‘‘বাড়িতে চুনকাম হচ্ছিল। ওই মিস্ত্রিরাই আমার কাকার পরিবারের চার জনকে মেরে ফেলেছে বলে সন্দেহ আমাদের।’’ তাঁর আরও দাবি, জিন্দল পরিবারের পৈতৃক বাড়িতে ৪০ জন সদস্য থাকেন। ঘটনার সময় সবাই ঘুমিয়েছিলেন। ফলে কেউই কিছু টের পাননি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন