এ বার স্নাতক স্তরেই চালু হয়ে যাবে বিএড!

শিক্ষকতাকে যাঁরা পেশা করতে চান, তাঁদের জন্য আগামী বছর থেকে চার বছরের একটি স্নাতক পাঠ্যক্রম চালু করতে চলেছে কেন্দ্র। উচ্চ মাধ্যমিকের পরে ছাত্র-ছাত্রীরা চাইলে কলা, বাণিজ্য বা বিজ্ঞান শাখার যে কোনও একটি শাখায় শিক্ষকতাকে (বিএড) বিষয় হিসেবে বেছে নিয়ে স্নাতক পাঠ্যক্রম পড়তে পারবেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৪ জুলাই ২০১৮ ০৪:১০
Share:

প্রকাশ জাভড়েকর। ফাইল চিত্র।

শিক্ষকতাকে যাঁরা পেশা করতে চান, তাঁদের জন্য আগামী বছর থেকে চার বছরের একটি স্নাতক পাঠ্যক্রম চালু করতে চলেছে কেন্দ্র। উচ্চ মাধ্যমিকের পরে ছাত্র-ছাত্রীরা চাইলে কলা, বাণিজ্য বা বিজ্ঞান শাখার যে কোনও একটি শাখায় শিক্ষকতাকে (বিএড) বিষয় হিসেবে বেছে নিয়ে স্নাতক পাঠ্যক্রম পড়তে পারবেন। ওই পাঠ্যক্রম শেষ হলে সংশ্লিষ্ট শাখায় শিক্ষকতা করার জন্য যোগ্যতাসম্পন্ন হবেন তাঁরা। আগামী দিনে শিক্ষকতা ক্ষেত্রে বিশেষ ক্যাডার গঠনের লক্ষ্যেই ওই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র।

Advertisement

শিক্ষক প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে দীর্ঘ দিন ধরেই সংস্কারের দাবি ছিল। আজ লোকসভায় ‘ন্যাশনাল কাউন্সিল অব টিচার্স এডুকেশন (সংশোধনী) বিল, ২০১৭’ নিয়ে আলোচনার জবাব জবাব দিতে গিয়ে শিক্ষক প্রশিক্ষণের জন্য নতুন পাঠ্যক্রম চালু করার সিদ্ধান্ত জানান কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর। তিনি বলেন, ‘‘কলা, বাণিজ্য ও বিজ্ঞান শাখার কথা মাথায় রেখে প্রতিটি শাখার জন্য আলাদা করে বিএড পাঠ্যসূচি চালু করা হচ্ছে। যাতে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করার পরেই ছাত্র-ছাত্রীরা নিজেদের পছন্দমতো শাখায় বিএড করতে পারেন। চার বছরের ওই স্নাতক পাঠ্যক্রম আগামী বছর থেকে শুরু হবে।’’

দেশের প্রায় প্রতিটি রাজ্যের বেসরকারি বিএড কলেজগুলিতে দুর্নীতি নিয়ে একাধিক অভিযোগ জমা রয়েছে কেন্দ্রের কাছে। আজ লোকসভার বিতর্কে প্রায় সব বক্তাই বিএড পাঠ্যসূচিতে সংস্কার ও বেসরকারি কলেজগুলিতে আর্থিক দুর্নীতি রোখার দাবি জানান।

Advertisement

জবাবে জাভড়েকর বলেন, ‘‘বিএড পাঠ্যক্রমের সংস্কার একটি দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া। আশা করব স্নাতক স্তরে ওই পাঠ্যক্রম চালু হলে বেসরকারি বিএড কলেজগুলিতে দুর্নীতি থামবে।’’ তবে আগামী বছর থেকে পাঠ্যক্রম চালু হলেও চিরাচরিত বিএড কোর্স এখনই তুলে দেওয়া হচ্ছে না বলেও জানান জাভড়েকর। তাঁর কথায়, ‘‘প্রথম কয়েক বছর দু’টি পাঠ্যক্রমই চালু থাকবে। তার পর ধীরে ধীরে আগের বিএড পাঠ্যক্রম তুলে দেওয়া হবে।’’ সম্পূর্ণ ভাবে বিএড তুলে দিতে চার বছর সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement