ইন্ডিয়া গেট চত্বরে বিক্ষোভ। ছবি: পিটিআই।
ক্রমেই খারাপ হচ্ছে রাজধানীর বায়ুর গুণমান। বিষাক্ত বাতাস নিয়ে চিন্তায় ঘুম উড়েছে পরিবেশবিদ থেকে প্রশাসন— সকলের। এর বিহিত চেয়ে রবিবার ফের ইন্ডিয়া গেট চত্বরে বিক্ষোভ দেখালেন দিল্লিবাসীদের একাংশ। পুলিশকর্মীদের চোখে ছেটানো হল পেপার স্প্রে। পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতিতেও জড়়িয়ে পড়লেন কেউ কেউ। আটক করা হল অন্তত ৬ জনকে।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই-এর প্রতিবেদন সূত্রে খবর, দিল্লিতে বায়ুদূষণের প্রতিবাদে রবিবার সন্ধ্যায় ফের বিক্ষোভ শুরু হয় ইন্ডিয়া গেট চত্বরে। দাবি, দেশের রাজধানীতে বায়ুদূষণ কমানোর জন্য জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপ করতে হবে সরকারকে। কোনও রাজনৈতিক দলের পতাকা বা ব্যানার ছাড়াই জড়ো হন বহু মানুষ। রাত বাড়তে বিক্ষোভও চরমে পৌঁছোয়। পুলিশকর্মীরা উপস্থিত জনতাকে সরাতে এলে তাঁদের চোখে পেপার স্প্রে ছিটিয়ে দেন বিক্ষোভকারীরা। জখম হন তিন-চার জন পুলিশকর্মী। তড়িঘড়ি তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সব মিলিয়ে চরম বিশৃঙ্খলা শুরু হয় ইন্ডিয়া গেট চত্বরে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, হাতাহাতি শুরু হতেই ভিড়ের মধ্যে থেকে কেউ ঘটনাস্থলে মোতায়েন এক পুলিশকর্মীর চোখে পেপার স্প্রে ছিটিয়ে দেন। তিনি বেশ জখম হন। আরও কয়েক জন পুলিশকর্মী ছুটে এলে তাঁদের দিকেও পেপার স্প্রে ছেটানো হয়। সকলকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, আহত কর্মীর নাম ইশান্ত। পুলিশকর্মীদের উপর হামলার ঘটনায় এফআইআর দায়ের করা হবে বলেও জানিয়েছে পুলিশ।
ডিসিপি (নয়াদিল্লি) দেবেশকুমার মাহলা এই ঘটনাকে ‘নজিরবিহীন’ বলে বর্ণনা করেছেন। তাঁর কথায়, ‘‘এটি খুবই অস্বাভাবিক ঘটনা। প্রথম বার এমনটা ঘটল যেখানে বিক্ষোভকারীরা ট্র্যাফিক এবং আইনশৃঙ্খলার দায়িত্বে থাকা কর্মীদের উপর পেপার স্প্রে ব্যবহার করলেন। আমাদের কয়েকজন অফিসারের চোখে এবং মুখে এই স্প্রে করা হয়েছে। বর্তমানে তাঁরা আরএমএল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ বিষয়ে অতি দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’’
উল্লেখ্য, দিল্লির দূষণের মাত্রা উদ্বেগজনক হারে বেড়ে গিয়েছে। রবিবার ভোরে দিল্লির বাতাসের গড় গুণমান (এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স) ছিল ৪৩০। কোনও কোনও এলাকায় সেই মান ৪৫০-ও ছাড়িয়ে গিয়েছে। বাতাসের দূষণ কী ভাবে কমানো যায়, তা নিয়ে চিন্তায় দিল্লির সরকার।