Manipur Violence

মণিপুরে আবার অশান্তি, পশ্চিম ইম্ফলে সংঘর্ষ দুই গোষ্ঠীর, কয়েকটি বাড়ি, যানবাহনে আগুন

মেইতেই জনগোষ্ঠীর দুই পড়ুয়ার খুনের জেরে ছাত্র-যুব সংগঠনগুলির বিক্ষোভের পরে এ বার অশান্তির কারণ ওই জোড়া খুনের ঘটনায় কুকি জনজাতির কয়েক জন অভিযুক্তের গ্রেফতারি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

ইম্ফল শেষ আপডেট: ০৫ অক্টোবর ২০২৩ ১৫:২০
Share:

প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

পাঁচ মাস পেরিয়ে যাওয়ার পরেও অশান্তির বিরাম নেই মণিপুরে। মেইতেই জনগোষ্ঠীর দুই ছাত্র-ছাত্রীকে অপহরণ এবং খুনের ঘটনায় কুকি জনজাতির কয়েক জন অভিযুক্তের গ্রেফতারি ঘিরে নতুন করে অগ্নিগর্ভ হল ইম্ফল উপত্যকা। বৃহস্পতিবার ভোরে রাজধানী শহর লাগোয়া এলাকায় নতুন করে সংঘর্ষ ছড়িয়েছে। ঘটেছে বাড়ি ভাঙচুর, অগ্নসংযোগের ঘটনা।

Advertisement

পুলিশ সূত্রের খবর, রাজধানী শহর থেকে প্রায় ১০ কিমি দূরে ইম্ফল পশ্চিম জেলার পাতসোই থানা এলাকার নিউ কেইথেলাম্বিতে বুধবার দুপুর থেকে নতুন করে দুই জনগোষ্ঠীর মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। তারই জেরে রাতে হিংসা ছড়ায়। ওই এলাকায় বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রের খবর।

প্রসঙ্গত, বিষ্ণুপুরে দুই মেইতেই ছাত্রছাত্রীর খুনের তদন্তে সিবিআই রবিবার চূড়াচাঁদপুর জেলার কুকি এলাকায় গোপনে হানা দিয়ে দুই মহিলা ও দুই পুরুষকে গ্রেফতার করে। দুই নাবালিকাকেও সঙ্গে নিয়ে আসে গুয়াহাটিতে। তার পর থেকেই ওই ৬ জন এবং এনআইএ-র হাতে গ্রেফতার হওয়া আরও এক শিক্ষককে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে মুক্তি দেওয়ার দাবিতে কুকি যৌথ মঞ্চ আইটিএলএফ বিক্ষোভ শুরু করেছে মণিপুরের বিভিন্ন এলাকায়।

Advertisement

সূত্রের খবর, গত ৬ জুলাই থেকে ওই দুই পড়ুয়া নিখোঁজ ছিলেন। সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া একটি ছবিতে দেখা গিয়েছে, দুই সশস্ত্র ব্যক্তির সঙ্গে বসে রয়েছেন দুই পড়ুয়া। অন্য একটি ছবিতে দেখা গিয়েছে, তাঁদের দেহ পড়ে রয়েছে। ছবি দু’টির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন। সূত্রের খবর, মেইতেই জনগোষ্ঠীর ওই দুই পড়ুয়ার দেহ এখনও উদ্ধার করা হয়নি। ওই দুই পড়ুয়াকে শেষ বার দেখা গিয়েছিল বিষ্ণুপুর জেলায়। অভিযোগ, তাঁদের অপহরণ করে খুন করে কুকিরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন