বিদেশি অনুদান নিয়ে মুচলেকা-বিধি মোদী সরকারের

সুপ্রিম কোর্ট আজ বলেছে, যে সমস্ত স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা সরকারের থেক পর্যাপ্ত আর্থিক সাহায্য পায়, তারা তথ্যের অধিকার আইনে আমজনতাকে তথ্য দিতে বাধ্য।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০০:৫৬
Share:

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলির বিদেশি অনুদান পাওয়ার ক্ষেত্রে কড়া নীতি আনল নরেন্দ্র মোদী সরকার। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়েছে, বিদেশি অনুদান পেতে হলে এখন থেকে ‘ধর্মান্তর মামলায় অভিযুক্ত বা দোষী সাব্যস্ত হইনি’ এই মর্মে সরকারের কাছে মুচলেকা দিতে হবে সংস্থার কর্মী ও অফিসারদের।

Advertisement

সুপ্রিম কোর্ট আজ বলেছে, যে সমস্ত স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা সরকারের থেক পর্যাপ্ত আর্থিক সাহায্য পায়, তারা তথ্যের অধিকার আইনে আমজনতাকে তথ্য দিতে বাধ্য।

২০১১ সালের ‘বিদেশি তহবিল নিয়ন্ত্রণ বিধি’-তে পরিবর্তন এনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়েছে, এক লক্ষ টাকা পর্যন্ত ব্যক্তিগত উপহারের ক্ষেত্রে এখন আর ঘোষণা করার প্রয়োজন নেই। আগে এই সীমা ২৫ হাজার ছাড়ালেই জানাতে হত সরকারকে। গত কাল এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার প্রত্যেক কর্মী, মুখ্য পদাধিকারী, সদস্যকে মুচলেকা দিয়ে জানাতে হবে যে তাঁরা ‘ধর্মান্তর নিয়ে কোনও মামলায় অভিযুক্ত বা দোষী সাব্যস্ত হননি। এবং বিদেশি অনুদানের অর্থ ব্যবহার করে সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ, রাষ্ট্রদ্রোহ বা হিংসা ছড়ানোর কোনও অভিযোগ তাঁদের বিরুদ্ধে নেই। আগে বিদেশি অনুদান গ্রহণের অনুমতি পাওয়ার ক্ষেত্রে এই ধরনের ঘোষণা করতে হত শুধু মাত্র সংস্থার ডিরেক্টর বা শীর্ষ পদাধিকারীদের।

Advertisement

বিদেশ সফরে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কেউ চিকিৎসা করালে তা-ও এক মাসের মধ্যে সরকারকে জানাতে হবে। তিনি যদি কোনও বিদেশি আতিথেয়তা পেয়ে থাকেন তবে তার উৎস, ভারতীয় টাকায় মূল্য ও খরচের খতিয়ানও একই সঙ্গে জানাতে হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement