মায়ের সাথে সিবিএসই-র টপার হংশিকা শুক্ল। ছবি পিটিআই।
ভোট মরসুমেও আজকের দিনটার জন্য তাঁরা রাজনীতিক নন। আর পাঁচ জন মা-বাবার সঙ্গে তাঁদের কোনও ফারাকও নেই। সিবিএসই-র দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় সন্তানেরা ভাল ফল করায় আর পাঁচ জনের মতোই গর্বিত স্মৃতি ইরানি থেকে অরবিন্দ কেজরীবালেরা। গত বারের মতো এ বারও পরীক্ষায় বাজিমাৎ করেছে ছাত্রীরা। পাঁচশোর মধ্যে ৪৯৯ পেয়ে প্রথম হয়েছেন দু’জন ছাত্রী। ৪৯৩ নম্বর পেয়ে পশ্চিমবঙ্গে প্রথম হয়েছেন সাউথ পয়েন্ট স্কুলের দেবাঞ্জন দাস।
প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী স্মৃতির ছেলে জোহর সিবিএসই-র দ্বাদশ শ্রেণিতে ভাল ফল করেছেন। সেই খবর নিজেই টুইট করেন স্মৃতি। লিখেছেন, ‘‘চিৎকার করেই বলছি, ছেলে জোহরের জন্য গর্বিত। ...ও দ্বাদশ শ্রেণিতে ৯১ শতাংশ পেয়েছে। ৯৪ শতাংশ পেয়েছে অর্থনীতিতে। ক্ষমা চাইছি, আজ আমি আহ্লাদে আটখানা।’’ ইনস্টাগ্রামে ছেলের সঙ্গে ছবিও শেয়ার করেছেন স্মৃতি।
সিবিএসই-র দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় ভাল ফল করেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরীবালের ছেলে পুলকিত-ও। দশ দিন পরেই ভোট রাজধানীতে। বাবা ব্যস্ত প্রচারে। ছেলের ভাল ফলের খবর টুইট করে জানান অরবিন্দের স্ত্রী সুনীতা। লিখেছেন, ‘‘ভগবানের আশীর্বাদ ও শুভাকাঙ্খীদের শুভেচ্ছায় ছেলে ৯৬.৪ শতাংশ নম্বর পেয়েছে।’’
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
সিবিএসই পরীক্ষার ফলাফল বলছে, এগিয়ে ছাত্রীরাই। প্রথমজন ডিপিএস গাজিয়াবাদের ছাত্রী হংসিকা শুক্ল। একমাত্র ইংরেজিতে ৯৯ পাওয়া ছাড়া ইতিহাস, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, মনোবিদ্যা ও হিন্দুস্তানি ভোকালে একশো-তে একশো পেয়েছেন তিনি। আগামী দিনে মনোবিদ্যা নিয়ে স্নাতক স্তরের পড়াশোনা শেষ করে ইন্ডিয়ান ফরেন সার্ভিসে যোগদানের পরিকল্পনা রয়েছে তাঁর। যুগ্ম ভাবে প্রথম উত্তরপ্রদেশের মুজফফ্রনগরের করিশ্মা আরোরা। তাঁর বিষয় ছিল ইংরেজি, হোম সায়েন্স, মনোবিদ্যা, অর্থনীতি ও চারুকলা। ৪৯৮ নম্বর পেয়ে দ্বিতীয় হয়েছেন তিন জন। তাঁরাও সকলেই ছাত্রী। সিবিএসই-তে গত বছরও মেয়েদের সাফল্য ছিল দেখার মতো। সে বার প্রথম তিন শীর্ষ স্থানই ছিল ছাত্রীদের দখলে।
সিবিএসই সূত্রে বলা হয়েছে, এ বছর পরীক্ষার্থী ছিলেন ১৩ লক্ষ। ২৮ দিনের মধ্যে ফল ঘোষণা করা হয়েছে। এ বছর পাশের হার ৮৩.৪ শতাংশ। ৮৮.৭ শতাংশ ছাত্রীরা চলতি বছরে পাশ করেছেন। সেখানে ছাত্রদের পাশের হার ৭৯.৪ শতাংশ।