মমতা আজ থেকে ফের ব্যস্ত দিল্লিতে

নরেন্দ্র মোদী সরকারের ৩ বছর পূর্ণ হচ্ছে শুক্রবার। গুয়াহাটিতে বিজেপির মুখ্যমন্ত্রীদের নিয়ে ঢাকঢোল পিটিয়ে ‘মোদী-উৎসব’ শুরু করবেন প্রধানমন্ত্রী। আর সেই দিনই রাজধানীতে পাল্টা মেগা-শো! বিরোধী নেতাদের একজোট করে বৈঠকে বসবেন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৪ মে ২০১৭ ০৫:০০
Share:

নরেন্দ্র মোদী সরকারের ৩ বছর পূর্ণ হচ্ছে শুক্রবার। গুয়াহাটিতে বিজেপির মুখ্যমন্ত্রীদের নিয়ে ঢাকঢোল পিটিয়ে ‘মোদী-উৎসব’ শুরু করবেন প্রধানমন্ত্রী। আর সেই দিনই রাজধানীতে পাল্টা মেগা-শো! বিরোধী নেতাদের একজোট করে বৈঠকে বসবেন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী। সেই মোদী-বিরোধী মঞ্চের সলতে পাকাতে দু’দিন আগে, আগামিকালই রাজধানীতে পৌঁছে যাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পার্লামেন্ট লাইব্রেরি ভবনে শুক্রবারের ওই বৈঠকে মোহনদাস কর্মচন্দ গাঁধীর প্রপৌত্র গোপালকৃষ্ণ গাঁধীকে রাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থী করার প্রস্তাব দেবেন বামেরা।

Advertisement

গুলাম নবি আজাদের ফোন পেয়ে বাম নেতারা আজই গোপালকৃষ্ণকে প্রার্থী করা নিয়ে নিজেদের মধ্যে একপ্রস্ত আলোচনা করেছেন। গোপালকৃষ্ণ আগেই জানিয়েছেন, তাঁর সঙ্গে প্রাথমিক কথা হয়েছে। রাজনৈতিক সূত্রের খবর, গোপালকৃষ্ণে আপত্তি নেই তৃণমূল নেত্রীরও। তবে তিনি দেখতে চান, মোদী আর এক দফায় প্রণব মুখোপাধ্যায়কেই চান কি না। আর বাম নেতাদের যুক্তি, বিজেপি মোহন ভাগবতের মতো কাউকে প্রার্থী করলে মোকাবিলা করা সহজ হবে। কিন্তু দ্রৌপদী মুর্মুর মতো কাউকে বাছলে গোপালকৃষ্ণই হবেন যোগ্য বিকল্প। দ্রৌপদী প্রথম আদিবাসী মহিলা যিনি রাজ্যপাল হয়েছেন। বিরোধীরা তবু বলতে পারবেন, সরকার পক্ষও গোপালকৃষ্ণকে সমর্থন করুক। যে মোদী গাঁধীজির চশমা নিয়ে স্বচ্ছ ভারত অভিযান করেন, কথায় কথায় গাঁধীজির উদ্ধৃতি দেন, তাঁর পক্ষে গাঁধীর প্রপৌত্রের বিরোধিতা করা কঠিন হবে।

আরও পড়ুন: শান্তি চেয়ে ট্রাম্প বেথলেহেমে

Advertisement

গত সপ্তাহে সনিয়ার সঙ্গে দেখা করার পরেই মমতা জানিয়েছিলেন, চলতি সপ্তাহে ফের আসবেন। ঠিক ছিল, ২৫ মে সনিয়া-মমতা বৈঠক হবে। এখন মোদী সরকারের বর্ষপূর্তির দিনেই বিরোধী নেতাদের আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের প্রার্থী বাছাই তো আছেই, মূল লক্ষ্য মোদী-বিরোধী মঞ্চকে আরও ঐক্যবদ্ধ করা। বিরোধী মঞ্চ গঠনের অন্যতম রূপকার মমতা ইতিমধ্যেই মায়াবতী, নবীন পট্টনায়কের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। অরবিন্দ কেজরীবালকে বলেছেন মোদী-বিরোধী মঞ্চে সামিল হতে। বৈঠকের দু’দিন আগেই মমতা যে ভাবে ফের রাজধানীতে আসছেন, তাতে স্পষ্ট, আরও রাজনৈতিক আলোচনা সারতে চান তিনি। বিরোধী ২০১৯-এর আগে রাজনীতির পরিসরে তৃণমূলকে আরও শক্তিশালী করে তুলতে চান তিনি। আসছেন লালুও। তাঁর লক্ষ্য, ‘মোদীর ফানুস চুপসে দেওয়া’।

ধোঁয়াশায় রেখেছেন শুধু নীতীশ কুমার।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement