Amritpal Singh

চোখে চশমা, হাতে পানীয়ের বোতল! পলাতক অমৃতপাল ধরা দিলেন নতুন রূপে, সঙ্গে ‘পরামর্শদাতা’

সম্প্রতি প্রকাশ্যে আসা ছবিতে দেখা গিয়েছে, অমৃতপাল এবং পাপালপ্রীত তাঁদের মোটরবাইকটি একটি ভ্যানে চাপাচ্ছেন। এই ছবি ১৯ মার্চ তোলা হয়েছিল বলে মনে করছেন গোয়েন্দারা।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২৮ মার্চ ২০২৩ ০৯:৫৭
Share:

সমাজমাধ্যমে নতুন রূপে ধরা দিলেন পলাতক খলিস্তানি নেতা অমৃতপাল সিংহ। ছবি: সংগৃহীত।

পরনে জ্যাকেট, মাথায় মেরুন পাগড়ি। চোখে কালো রোদচশমা। হাতে পানীয়ের বোতল। সমাজমাধ্যমে নতুন রূপে ধরা দিলেন পলাতক খলিস্তানি নেতা অমৃতপাল সিংহ। সঙ্গে দেখা গেল তাঁর প্রধান সহযোগী পাপালপ্রীত সিংহকেও। এই ছবিতে পাপালপ্রীতকে একটি সোয়েটার পরে থাকতে দেখা গিয়েছে।

Advertisement

সম্প্রতি প্রকাশ্যে আসা ছবিতে দেখা গিয়েছে, অমৃতপাল এবং পাপালপ্রীত তাঁদের মোটরবাইক একটি ভ্যানে চাপাচ্ছেন। এই ছবি ১৯ মার্চ তোলা হয়েছিল বলে মনে করছেন গোয়েন্দারা। তদন্তকারীদের অনুমান তাঁদের বাইকের টায়ার পাংচার হয়ে যাওয়ায় তাঁরা স্থানীয়দের কাছ থেকে সাহায্য নিয়েছিলেন। তখনই এই ছবি তোলা হয়।

তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের অনুমান ওই একই দিনে অমৃতপাল এবং পাপালপ্রীত হরিয়ানার কুরুক্ষেত্র জেলার শাহবাদে বলজিৎ কউর নামে এক মহিলার বাড়িতে গা ঢাকা দিয়ে ছিলেন। তার আগে ওই একই দিনে পটীয়লার হরগোবিন্দ নগরে অন্য এক মহিলার কাছে পাঁচ-ছ’ঘণ্টার জন্য ছিলেন বলে অনুমান। খলিস্তানি নেতাদের সাহায্য করার জন্য দুই মহিলাকেই গ্রেফতার করা হয়েছে।

Advertisement

জালন্ধরে পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে পালানোর পর থেকে অমৃতপাল একাধিক গাড়ি পরিবর্তন করেছেন বলেও মনে করছেন গোয়েন্দারা।

পাশাপাশি তদন্তকারী আধিকারিকদের অনুমান, ভারত থেকে পালিয়ে নেপাল যাওয়ার ছক কষছেন খলিস্তানি নেতা এবং তাঁর পরামর্শদাতা পাপালপ্রীত। এই নিয়ে দেশের তরফে নেপালের কাছে সাহায্য চাওয়া হয়েছে বলে সংবাদমাধ্যমের একাংশের দাবি। পলাতক অমৃতপাল যাতে নেপাল হয়ে অন্য দেশে পালাতে না পারেন তা নিশ্চিত করতে সাহায্য চাওয়া হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

অমৃতপাল এবং তাঁর ‘ওয়ারিস পঞ্জাব দে’ সংগঠনের সদস্যদের বিরুদ্ধে বৈষম্য ছড়ানো, খুনের চেষ্টা, পুলিশকর্মীদের উপর হামলা এবং সরকারি কর্মীদের কাজে বাধা সৃষ্টি করা-সহ অনেক অভিযোগ আনা হয়েছে। পাপালপ্রীতের সঙ্গে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের যোগাযোগ ছিল বলেও অভিযোগ রয়েছে। এর পরই শুরু হয় পুলিশের ধরপাকড়। পালিয়ে যান অমৃতপাল এবং তাঁর সহযোগীরা।

এর পর থেকে অমৃতপাল এবং তাঁর সহযোগীরা একাধিক সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়লেও পুলিশ এখনও তাঁদের ধরতে পারেনি। খালিস্তানি নেতার কাছে বিভিন্ন পরিচয়-সহ একাধিক পাসপোর্ট রয়েছে বলেও গোয়েন্দাদের অনুমান।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement