Rahul Gandhi

Rahul Gandhi: রাহুলেরা শিমলায়, আন্দোলন ভুলেই গেলেন বিরোধীরা!

সনিয়া গাঁধী নিজেও ছুটি কাটাতে শিমলায়। সেখানে রয়েছেন তাঁর ছেলে রাহুল গাঁধী ও মেয়ে উত্তরপ্রদেশের দায়িত্বপ্রাপ্ত কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়ঙ্কা বঢরা। 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২১ ০৬:৪৮
Share:

ছুটি, শিমলায় কংগ্রেস নেত্রী সনিয়া গাঁধী। ছবি: পিটিআই

ঠিক এক মাস আগে সনিয়া গাঁধীর ডাকা বিরোধী শিবিরের বৈঠকে হাজির ১৯টি দল বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছিল, আগামী ২০-৩০ সেপ্টেম্বর দেশ জুড়ে মোদী সরকারের বিভিন্ন নীতির বিরুদ্ধে সম্মিলিত প্রতিবাদ করা হবে।

Advertisement

সেই প্রতিবাদ আন্দোলনের প্রথম দিন অর্থাৎ আজ, দেশের প্রায় কোথাও কোনও সম্মিলিত প্রতিবাদ দেখা গেল না। সনিয়া গাঁধী নিজেও ছুটি কাটাতে শিমলায়। সেখানে রয়েছেন তাঁর মেয়ে উত্তরপ্রদেশের দায়িত্বপ্রাপ্ত কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়ঙ্কা বঢরা। নতুন মুখ্যমন্ত্রীর শপথ উপলক্ষে চণ্ডীগড় ঘুরে রাহুল গাঁধীও চলে গিয়েছেন সেখানে। অন্য বিরোধী দলগুলিও বিষয়টি নিয়ে উদাসীন। এই প্রসঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস একটু ঝাঁঝালোভাবেই জানাচ্ছে, ‘কংগ্রেসের বোধহয় অন্য কোনও দিকে মন রয়েছে, তাই তারা আন্দোলনের ডাক দিয়ে ভুলেই গিয়েছে অন্যদের একজোট করতে!’

গত ১১ সেপ্টেম্বর এআইসিসি-র সাংগঠনিক দায়িত্বপ্রাপ্ত সম্পাদক কে সি বেণুগোপাল সমস্ত রাজ্যের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি, পরিষদীয় নেতা, এআইসিসি-র সাধারণ সম্পাদক, রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক, ব্লক স্তরের নেতা, দলের বিভিন্ন সংগঠনকে চিঠি দিয়ে ওই কর্মসূচির কথা মনে করিয়ে দেন। জানিয়েছিলেন, যে যাঁর রাজ্যে সমমনস্ক নেতা কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে প্রতিবাদ ও ধর্না আন্দোলনের রূপরেখা তৈরি করতে। এই কাজে কংগ্রেসের সমস্ত সাংসদ এবং বিধায়ক এবং প্রবীণ নেতাদের যুক্ত করতেও নির্দেশ দেন তিনি।

Advertisement

কিন্তু দেখা গেল, আজ একমাত্র তেলঙ্গানায় কংগ্রেস নেতারা অন্যান্য কিছু বিরোধী নেতার সঙ্গে বৈঠক করেছেন। আর কর্নাটকে পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে কংগ্রেস বিধায়করা সাইকেলে বিধানসভা গিয়েছেন। কিন্তু অন্য কোনও রাজ্যে কোনও সক্রিয়তা নেই। তৃণমূল, ডিএমকে অথবা এনসিপি-র মতো বড় শরিক দলেরাও নিষ্ক্রিয়। অথচ এই বিরোধী জোটের সলতে পাকানোর পিছনে যে ‘২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনই চূড়ান্ত লক্ষ্য’ তা স্পষ্ট করে সনিয়া সেই বৈঠকে বলেছিলেন, ‘‘আমাদের সুনির্দিষ্ট ভাবে পরিকল্পনা শুরু করতে হবে।” স্থির হয়েছিল, পেগাসাস-কাণ্ডে তদন্ত, কৃষি আইন প্রত্যাহার, পেট্রল-ডিজেলের দাম কমানো, বেসরকারিকরণের প্রতিবাদ, ভীমা কোরেগাঁও মামলা, কাশ্মীরে ৩৭০ রদ বিরোধী এবং সিএএ-বিরোধী আন্দোলনে বন্দিদের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ হবে। রাজনৈতিক শিবিরে প্রশ্ন উঠছে, সাধারণ মানুষের নিত্য দিনের সঙ্গে সম্পর্কিত একের পর এক বিষয় থাকা সত্ত্বেও বিরোধীরা মিইয়ে রয়েছেন কেন? বিজেপি-বিরোধী ঐক্যের ছবিও ঝাপসা।

এর আগেও বার বার, বিভিন্ন ঘটনায় কংগ্রেস নেতা রাহুল গাঁধী সম্পর্কে তৃণমূলের ‘অ্যালার্জি’ দেখা গিয়েছে। তৃণমূলের রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন প্রস্তাবিত যৌথ কর্মসূচি সম্পর্কে আজ সরাসরি কংগ্রেসকে আক্রমণই করেছেন। তাঁর কথায়, “যে দল এই কর্মসূচির প্রস্তাব দিয়েছিল, তারাই আর বিষয়টি নিয়ে অগ্রসর হয়নি। আমার মনে হয়, কংগ্রেসের অন্য কিছুতে মন রয়েছে!” ডেরেকের কথায়, “সনিয়া গাঁধীর ডাকা বৈঠকে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দু’টি প্রস্তাব দিয়েছিলেন। প্রথমত, বিষয়টি নিয়ে বিরোধীদের থেকে ৫ বা ৬ জনের একটি কোর কমিটি তৈরি করা হোক। দুই, দেশে যেখানে যিনি বিজেপি-বিরোধিতা করছেন, তাঁদের আমন্ত্রণ করে একজোট করা হোক। কিন্তু তৃণমূলের এই প্রস্তাব নিয়েও নীরবতাই বজায় রেখেছে কংগ্রেস।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন