‘ঘুঙরু’ রেস্তোরাঁ কাম বার…
— বাই গৌতম গম্ভীর।
দিল্লির পঞ্জাবি বাগে একটি রেস্তোরাঁ কাম বার-এর গায়ে জ্বল জ্বল করছে লেখাটি। মাস ছয়েক আগে ওই রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় লেখাটি দেখেই চমকে ওঠেন। তা হলে কি গম্ভীর এ বার রেস্তোরাঁর ব্যবসায় নামলেন? কৌতুহলবশত তিনি গম্ভীরকে ফোন করে জিজ্ঞাসাই করে ফেলেন তিনি কি দিল্লিতে রেস্তোরাঁ খুলেছেন? গৌতম জানান, তাঁর কোনও রেস্তোরাঁ নেই এবং ভবিষ্যতে এমন কোনও পরিকল্পনাও নেই। বিষয়টি নিয়ে বেশ চিন্তায় পড়েন ভারতের এই প্রাক্তন ক্রিকেটার। তাঁর নামে রেস্তোরাঁ চলছে, তা-ও আবার খোদ দিল্লির বুকে, অথচ তিনি জানেনই না!
আসল বিষয়টি কী, সেটা জানতেই তিনি কোমর বেঁধে আসরে নেমে পড়েন। আসল সত্যটা যে তাঁকে জানতেই হবে! অনুসন্ধানে নেমে তাঁর তৈরি একটি বিশেষ দলের চোখ কপালে ওঠার মতো অবস্থা। শুধু পঞ্জাবি বাগ-এ নয়, ‘হাওয়ালাত’ ও ‘ব্লু ওয়াভ্স’ নামে আরও দুটো রেস্তোরাঁ চলছে তাঁর নামেই। তাঁর নাম তুলে নেওয়ার জন্য রোস্তোরাঁর মালিককে প্রথমে অনুরোধ করেন গম্ভীর। রেস্তোরাঁর মালিক কোনও গুরুত্বই দেননি। বাধ্য হয়ে রেস্তোরাঁর মালিককে আইনি নোটিস পাঠিয়েছেন তিনি। তার পর বিষয়টি নিয়ে দিল্লি হাইকোর্টে মামলাও করেন।
আরও পড়ুন: কঠিন ব্যাধি নিয়েই ইউপিএসসি-তে সফল ফেরিওয়ালার মেয়ে
কিন্তু রেস্তোরাঁ মালিক নিশ্চিন্ত, তাঁর কোনও সমস্যাই হবে না।
কেন? তাঁরও নাম নাকি সত্যিই গৌতম গম্ভীর! সব কিছু জানার পর তিনি তো অবাক। তবে এটাও জানান, নাম-পরিচয় রক্ষা করতে আইনি লড়াইয়ে নামতে প্রস্তুত তিনিও। বলেন, “উনি সেলিব্রিটি আর বড় ক্রিকেটার। কিন্তু আমার নামেরও একটা পরিচয় আছে! ওঁর নাম গৌতম গম্ভীর বলে কি আমাকে আমার নাম বদলাতে হবে?” তাঁর দাবি, ঘুঙরু ও হাওয়ালাত-এর আগে রাজৌরি গার্ডেনে ব্লু ওয়াভ্স নামে একটি রেস্তোরাঁ চালাচ্ছেন। কিন্তু কেউ কোনও দিন আপত্তি করেননি। নিজের পরিচয় ও ব্যবসায়িক স্বার্থেই রেস্তোরাঁর ট্যাগলাইনে নিজের নাম ব্যবহার করেছেন। প্রশ্ন তোলেন, এতে তো কারও আপত্তি থাকার কথা নয়।
ছবি: সংগৃহীত।
রেস্তোরাঁর মালিক গৌতম আরও বলেন, “কখনওই দাবি করিনি যে ক্রিকেটার গৌতমের নামে আমার রেস্তোরাঁর নাম। এমনকী ক্রিকেটের মতো কোনও লোগো বা ছবিও ব্যবসায়িক স্বার্থে ব্যবহার করিনি। আমার একটা নাম আছে, আর সেই অধিকারেই রেস্তোরাঁয় আমার নাম ব্যবহার করেছি!”
কথায় আছে, নামে কি যায়-আসে। কিন্তু এই নামে যে যায়-আসে দুই গৌতমের গম্ভীর লড়াই-ই চোখে আঙুল দিয়ে দেখাল। ঘটনাটি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ইতিমধ্যেই বেশ চর্চা শুরু হয়েছে।