গীতার সঙ্গে বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। ছবি- সংগৃহীত।
সেই মূক ও বধির কিশোরী গীতাকে মনে পড়ে? বছরদু’য়েক আগে যাঁকে পাকিস্তান থেকে ভারতে ফিরিয়ে আনা হয়েছিল।
দু’বছর হয়ে গেল, সেই গীতাকে তাঁর মা, বাবা, পরিবার, পরিজনের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া যায়নি। কেন্দ্রীয় সরকার হন্যে হয়ে খোঁজ করেছে, খোঁজ করে চলেছে গীতার পরিবারের। কিন্তু এখনও খোঁজ মেলেনি গীতার পরিবার, পরিজনের।
তাই বাধ্য হয়ে এ বার টুইট করে গীতার পরিবার, পরিজনদের খুঁজে দেওয়ার আর্জি জানালেন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। আমজনতার কাছে। সঙ্গে দিলেন পাকিস্তানে বসে দেবনাগরী আর অপরিচিত গ্রাম্য ভাষায় গীতার লেখা ডায়েরির কয়েকটা পাতা। যাতে সেই ভাষা দেখে মানুষ বুঝতে পারেন, কোন এলাকার মেয়ে গীতা।
আরও পড়ুন- সাংসদদের মাঝেই কেঁদে ফেললেন মোদী, তিন বার
আরও পড়ুন- অপারেশন থিয়েটারে বসে পরীক্ষা দিচ্ছেন প্রসূতি! ছবি ভাইরাল টুইটারে
শুধু তাই নয়, গীতাকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তাঁর মা, বাবা, আত্মীয়, পরিজনদের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য দূরদর্শনের সবক’টি চ্যানেলেও গীতার ছবি দেখিয়ে সম্প্রচার করতে বলেছেন বিদেশমন্ত্রী। বলেছেন, গীতার পরিবারের হদিশ জানাতে পারলে ১ লক্ষ টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে।
মা, বাবা, আত্মীয় পরিজনদের ছেড়ে খুব ছোট্টবেলায় হয়তো না জেনেশুনেই ভারতের সীমান্ত পেরিয়ে পাকিস্তানে চলে গিয়েছিলেন গীতা। অনেক অনুরোধ, উপরোধের পর দু’বছর আগে, ২০১৫-র ২৬ অক্টোবর গীতাকে পাকিস্তান থেকে ফিরিয়ে এনেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। তার দিনকয়েক আগেই রিলিজ হয়েছিল সলমন খানের ফিল্ম ‘বজরঙ্গি ভাইজান’। তার ‘মুন্নি’ চরিত্রটির সঙ্গে অবিকল মিল থাকায় সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছিল গীতার নামও।
বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ জানিয়েছেন, সেই সময় গীতাকে তাঁর সম্ভাব্য মা, বাবা, ভাইবোন চেনাতে কয়েকটা ছবি দেখানো হয়েছিল। একটা ছবি দেখে গীতা বলেছিলে্ন, সেটাই তাঁর হারিয়ে যাওয়া পরিবার। তার পর সেই পরিবারটিকে গীতার সামনে আনা হলে গীতা তাঁদের কাউকেই চিনতে পারেননি। তাঁরাও চিনতে পারেননি গীতাকে।
সুষমার কথায়, ‘‘ইনদওরের মূক বধির সংগঠনে বহাল তবিয়তে থাকলেও মা, বাবা, আত্মীয় পরিজনদের জন্য খুব মন কেমন করে গীতার। সব সময়ই হাবেভাবে বুঝিয়ে দেন, পরিবার, পরিজনদের তিন খুঁজছেন। মুশকিলটা হল, গীতা কথাও বলতে পারেন না। তাই জানাও যাচ্ছে না কোথায় ছিল তাঁর আদত বাড়ি। তবে এক বার লিখে জানিয়েছিলেন, তাঁর বাড়ি ছিল এমন একটা জায়গায়, যা বিহার বা ঝাড়খণ্ডে হতে পারে।’’
তাই দূরদর্শনের চ্যানেলগুলিকে গীতার ছবি বেশি করে বিহার ও ঝাড়খণ্ডে দেখাতে বলেছেন বিদেশমন্ত্রী।