‘পরিবারে’র সঙ্গে ডিএনএ মিলল না গীতার

গীতার দাবি খারিজ হয়ে গেল ডিএনএ পরীক্ষায়। ভারতে যাঁদের তিনি তাঁর পরিবারের সদস্য বলে ‘শনাক্ত’ করেছিলেন, সেই মাহাতো পরিবারের কারও সঙ্গেই গীতার ডিএনএ মিলল না।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২০ নভেম্বর ২০১৫ ১৭:১৪
Share:

গীতার দাবি খারিজ হয়ে গেল ডিএনএ পরীক্ষায়।

Advertisement

ভারতে যাঁদের তিনি তাঁর পরিবারের সদস্য বলে ‘শনাক্ত’ করেছিলেন, সেই মাহাতো পরিবারের কারও সঙ্গেই গীতার ডিএনএ মিলল না।

বিদেশ মন্ত্রকের তরফে আজ এ কথা জানানো হয়েছে।

Advertisement

ট্রেনে চেপে ভুল করে সীমান্ত পেরিয়ে পাকিস্তানে চলে গিয়েছিলেন গীতা। তখন তাঁর বয়স ছিল এগারো বছর। মুক ও বধির গীতা পাকিস্তানে গিয়ে বলতে পারেননি ভারতে ঠিক কোথায় ছিল তাঁর বাড়ি। বলতে পারেননি, কে তাঁর বাবা, কে তাঁর মা। তার পর প্রায় এক দশকেরও বেশি সময় পাকিস্তানেই কাটান গীতা। ভারতে ফেরেন গত মাসে। দেশে ফেরার পর তিনি যেমন বলেছিলেন, সেই মতো বিহারের মোট তিনটি পরিবারের ছবি দেখানো হয় গীতাকে। তার মধ্যে একটি- মাহাতো পরিবারের ছবি দেখে ওই পরিবারটিকেই তাঁর ‘পরিবার’ বলে ‘শনাক্ত’ করেছিলেন গীতা। কিন্তু সেই পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে গীতার ডিএনএ মেলেনি বলে বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে। পূর্ব বিহারের আরও দু’টি পরিবার গীতাকে তাঁদের পরিবারের মেয়ে বলে দাবি করেছিল। সেই দাবিও সমর্থিত হয়নি। গীতাকে এখন রাখা হয়েছে একটি অনাথ আশ্রমে। যত দিন গীতার পরিবারের সন্ধান না জানা যাবে, তত দিন তাঁকে সেখানেই রাখা হবে বলে জানিয়েছেন এক পদস্থ সরকারি কর্তা।

গীতা দেশে ফেরার পর বিদেশ মন্ত্রী সুষমা স্বরাজ বলে‌ছিলেন, ‘‘গীতার বাবা, মায়ের সন্ধান জানা যাক বা না যাক, গীতা আমাদের মেয়ে। ওকে আমরা মেয়ের মতো যত্নেই রাখব। এত দিন গীতাকে সযত্নে বড় করে তোলার জন্য আমি আন্তরিক ভাবেই পাকিস্তানকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন