নরেন্দ্র মোদী।
বিপুল জয়কে সবিনয়ে স্বীকার করেছেন নরেন্দ্র মোদী। আগামী পাঁচ বছরে দেশের দারিদ্র ঘোচানোর শপথ নিয়েছেন। কিন্তু পাশাপাশি নিজেদের শাখাপ্রশাখা বিস্তারের বড় পরিকল্পনাও ছকে রেখেছেন মোদী-অমিত শাহেরা।
বিজেপি সূত্রে খবর, পশ্চিমবঙ্গ, মধ্যপ্রদেশ, কর্নাটকে ক্ষমতা দখলের পথ প্রশস্ত হয়েছে। আজ বিজেপি দাবি করেছে, পশ্চিমবঙ্গে ৪৭ জন ও মধ্যপ্রদেশে ৬ জন বিধায়ক তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। পাশাপাশি কর্নাটকেও জেডিএস-কংগ্রেস জোটেও ভাঙন ধরছে বলে দাবি মোদীর দলের। বিজেপি নেতাদের দাবি, রাজ্যসভায় মোদী সরকারের সংখ্যাগরিষ্ঠতা ছিল না। কিন্তু এই তিন রাজ্যে ক্ষমতা দখল করতে পারলে বিধায়কের সংখ্যার বিচারে রাজ্যসভায় ক্ষমতা বাড়াতে পারবে সরকার। পাশাপাশি আজ জগন্মোহন রেড্ডি, নবীন পট্টনায়ককে আলাদা ভাবে অভিনন্দন জানিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহ। বিজেপি সূত্রে খবর, জগন্মোহন, নবীন ও কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের দলের সঙ্গে হাত মিলিয়ে এনডিএ-র আসন সংখ্যা প্রায় ৪০০-এর কাছাকাছি নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে বিজেপি। রাজীব গাঁধী জমানায় কংগ্রেসের পরে এই সংখ্যা কোনও দল বা জোট পায়নি।
রাম মন্দির, অভিন্ন দেওয়ানি বিধি, জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদার মতো বিষয়গুলি নিয়ে এ বার মোদী কী পদক্ষেপ করবেন তা নিয়ে আগ্রহ রয়েছে নানা শিবিরের। বিজেপি সূত্রের মতে, রাম মন্দির নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে মধ্যস্থতা চলছে। তাতে সরকার হস্তক্ষেপ করবে না। জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বা অভিন্ন দেওয়ানি বিধি নিয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।
বিজেপি সূত্রে খবর, আগামিকাল মন্ত্রী পরিষদের বৈঠক হবে। সেখানেই বর্তমান লোকসভা ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হবে। রাষ্ট্রপতির সঙ্গেও দেখা করতে পারেন মোদী। আগামী শনিবার সংসদের অ্যানেক্স ভবনে দলের বৈঠক হবে। তাতে আনুষ্ঠানিক ভাবে মোদীকে সংসদীয় দলের নেতা নির্বাচন করা হবে। আগামী রবিবার সকালে ফের ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে নিজের বক্তব্য জানাবেন মোদী। দলীয় সূত্রে খবর, আগামী মঙ্গলবার শপথ
নিতে পারেন মোদী ও তাঁর নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যেরা।