কেজরীবাল এখনও দিল্লির পছন্দ, হেরে বলল আপ

লোকসভায় ভোট প্রাপ্তির নিরিখে তৃতীয় স্থানে আপ। ২০১৫-র ভোটে বিধানসভার ৭০টির মধ্যে ৬৭টি আসনে জিতে ক্ষমতায় আসা দল কেন চার বছরে একটি বিধানসভাতেও ‘লিড’ পেল না তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে বৈঠকে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৮ মে ২০১৯ ০২:৪৩
Share:

—ফাইল চিত্র।

দিল্লির সাতটি লোকসভা আসনেই গো-হারা হেরেছে আপ। দু’দিন ধরে তার পর্যালোচনা করে অরবিন্দ কেজরীবালের দল আজ কর্মীদের জানাল, হতাশ হওয়ার কিছু নেই। লোকসভা ভোট হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর নামে। আগামী বিধানসভা নির্বাচনে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্নে দিল্লিবাসীর প্রথম পছন্দ এখনও কেজরীবালই।

Advertisement

লোকসভায় ভোট প্রাপ্তির নিরিখে তৃতীয় স্থানে আপ। ২০১৫-র ভোটে বিধানসভার ৭০টির মধ্যে ৬৭টি আসনে জিতে ক্ষমতায় আসা দল কেন চার বছরে একটি বিধানসভাতেও ‘লিড’ পেল না তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে বৈঠকে। দ্রুত ক্ষত নিরাময়ে নেমেছে আপ। দ্বারকা ও বুরারিতে দু’টি মাল্টি স্পেশালিটি হাসপাতাল ও মূলত গরিবদের নিখরচায় চিকিৎসার সুযোগ বাড়াতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তে অন্তত ১০০টি মহল্লা ক্লিনিক খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দল। বিধানসভা ভোটের আগে অন্তত ২৫০ সরকারি স্কুলকে আধুনিক করে তোলারও পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

গত বিধানসভায় বিজেপিকে হারাতে মুসলিম সমাজের মূল ভরসা ছিলেন কেজরীবাল। কিন্তু মুসলিম ভোটাররা ফের কংগ্রেসের পাশে দাঁড়াতে শুরু করেছেন। আসন না পেলেও ওখলা, বাল্লিমারান, মতিয়া মহল, সিলামপুর ও চাঁদনি চকের মতো অন্তত পাঁচ সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকায় প্রাপ্ত ভোটের নিরিখে প্রথমে কংগ্রেস। এটা আপের কাছে অশনিসঙ্কেত। গত বিধানসভা ভোটে দিল্লির যত ঝুপড়ি ও বস্তি এলাকা ছিল, তার বাসিন্দারা ঢেলে ভোট দেন আপকে। লোকসভা ভোটের ফল বলছে, সে জনভিত্তি অনেকটাই নড়ে গিয়েছে। ঝুপড়িবাসীদের ভোট অনেকটা টেনে নিতে পেরেছে বিজেপি। যা ভাবাচ্ছে আপকে। তবে বিধানসভা ভোটে দিল্লি কেজরীবালের নামে আপকে ভোট দেবে এই আশায় বুক বাঁধছে দল। তাদের যুক্তি, লোকসভা ভোট হয়েছে নরেন্দ্র মোদীর নামে। বিধানসভা ভোটে মুখ্যমন্ত্রী পদে কেজরীবালের বিকল্প বিজেপি বা কংগ্রেসে নেই। পূর্ব দিল্লিতে আপের পরাজিত প্রার্থী অতিশীর কথায়, ‘‘জনমত সমীক্ষায় রাজধানীর মানুষ জানান, তাঁরা দিল্লি সরকারের কাজে খুশি। কিন্তু লোকসভা ভোট হওয়ায় মোদীই ভোট পেয়েছেন। বিধানসভায় প্রথম পছন্দ কেজরীবাল।’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন