—ফাইল চিত্র।
লোকসভা ভোটে মোদী ঝড়ে উড়ে গিয়েছে দুর্গ। সরকার ফেলতে বিজেপির প্রবল চাপের মুখে এ বার মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণ করে পরিস্থিতি সামলাতে চাইছে কর্নাটকের জোট সরকার।
বিধানসভা ভোটে বিজেপি বৃহত্তম দল হিসেবে উঠে এলেও কংগ্রেস ও জেডিএস জোট বেঁধে সরকার গড়েছে। তবে মুখ্যমন্ত্রী এইচ ডি কুমারস্বামীর সংখ্যাগরিষ্ঠতা সুতোয় ঝুলছে দেখে সরকার ফেলতে দীর্ঘদিন ধরে ‘অপারেশন পদ্ম’ চালিয়ে যাচ্ছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদুরাপ্পা। লোকসভা ভোটের ফলপ্রকাশের পরে যা আরও তীব্র হয়েছে। গত কালই রাজ্য বিজেপির শীর্ষস্থানীয় দুই নেতা ও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এস এম কৃষ্ণ এবং আর অশোকের সঙ্গে দেখা করেছেন কংগ্রেসের দুই বিধায়ক। পরিস্থিতি ঘোরালো হয়ে উঠছে বুঝেই কুমারস্বামী বৈঠকে বসেন কংগ্রেস নেতা ও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার সঙ্গে। সূত্রের খবর, মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণ নিয়ে কথা হয়েছে দু’জনের। এরই মধ্যে আজ প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী দেবগৌড়া প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি দীনেশ গুন্ডু রাওয়ের সঙ্গে রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছেন।
ইয়েদুরাপ্পা গত কালই জানান, জেডিএসকে নিয়ে সরকার গড়ার কোনও পরিকল্পনা নেই বিজেপির। যদি কুমারস্বামীর জোট সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারায়, নতুন করে ভোট চাইবেন তাঁরা। লোকসভা ভোটে কর্নাটকের ২৮টির মধ্যে কংগ্রেস এবং জেডিইউ একটি করে আসন জিতেছে, বাকিগুলিতে জিতেছে বিজেপি ও তাদের সমর্থিত এক নির্দল প্রার্থী। বিজেপির আশা, কর্নাটকে এখনই ভোট হলে গরিষ্ঠতা পেতে কোনও অসুবিধা হবে না।
দলের বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের সঙ্গে কথা বলেছেন সিদ্দারামাইয়া। শাসক জোটকে ‘অশুভ আঁতাঁত’ বলেছিলেন ডঃ সুধাকর। সূত্রের খবর, তাঁকে মানানো গিয়েছে। তবে আর এক বিধায়ক রমেশ জারকিহোলি দল ছাড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তাই সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রশ্নটি শাসক জোটকে ভাবাচ্ছে। বিধানসভায় গরিষ্ঠতার জন্য দরকার ১১৩ জনের সমর্থন। আর খাতায়-কলমে কংগ্রেস-জেডিএস জোটের শক্তি ১১৭। বিজেপির রয়েছে ১০৫ জন বিধায়ক। দু’জন নির্দল বিধায়কের সমর্থনও বিজেপির দিকে রয়েছে বলে তাদের তরফে ঘরোয়া ভাবে দাবি করা হচ্ছে। বিধায়করা এই মুহূর্তে ভোটে যেতে অনিচ্ছুক বুঝেই সরকার বাঁচানোর চেষ্টা করছেন কুমারস্বামী-সিদ্দারামাইয়ারা। বুধবার কংগ্রেস পরিষদীয় দলের বৈঠক ডাকা হয়েছে।