লোকসভা নির্বাচনের ফল বেরোবার পরই উত্তেজনা ত্রিপুরায়। ছবি: রয়টার্স।
ভোট মিটতে না মিটতেই ত্রিপুরার বিভিন্ন এলাকায় হিংসার ঘটনা ঘটতে শুরু করেছে। গতরাতে মিঠু দেবনাথ নামে এক বিজেপি সমর্থক প্রাণ হারিয়েছেন। পুলিশের বক্তব্য, হামলা চালাতে গিয়ে প্রতিরোধের মুখেই নিহত হন ওই ব্যক্তি। দু’পক্ষই বিজেপির সমর্থক। সন্দেহ রাজনৈতিক হিংসার আড়ালে ব্যক্তিগত বিবাদ রয়েছে।
লোকসভা নির্বাচনের ফল বেরোবার সঙ্গে সঙ্গে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বিরোধী দলের সমর্থকদের বাড়িতে হামলা হুজ্জতি শুরু হয়েছে। আগরতলা শহরতলি সংলগ্ন বামুটিয়া বিধানসভার এলাকার ভাটি ফটিকছড়াতে সাধনা দেবনাথের বাড়িতে আগের রাতেই হামলা চালায় মিঠু দেবনাথ ও তার সঙ্গীরা। পুলিশকে বিষয়টি জানায় সাধনা দেবনাথ। কিন্তু কোনও প্রতিকার পাননি বলে অভিযোগ। পরের দিন মিঠু দেবনাথরা ফের হামলা চালাতে আসে, সেই সময় সাধনা দেবনাথের দুই ভাই দা দিয়ে মিঠুকো কোপায়। ঘটনাস্থলে মিঠু দেবনাথের মৃত্যু হয়। জখম হয় তার সঙ্গী সঞ্জীব লস্কর। মিঠুর লোকজন পরে সাধনা দেবনাথের বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়।
এলাকার মানুষের বক্তব্য, শাসক দলের অভ্যন্তরীণ বিবাদই খুনের কারণ। পুলিশ জানিয়েছে সাধনা দেবনাথ এবং মিঠু দেবনাথ আত্মীয়। তাদের পুরনো শত্রুতা রয়েছে। এই ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যদিও বিজেপির তরফে নিহত ব্যক্তির সঙ্গে দলের সম্পর্কের কথা স্বীকার করা হয়নি। এ দিকে, আমতলী থানা নির্বাচন পরবর্তী হামলার দশটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তবে সে ক্ষেত্রেও মূলত বিজেপিরই পুরনো ও নতুন গোষ্ঠীর মধ্যে লড়াই। কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ভোটের ফল বেরোনোর সঙ্গে সঙ্গে বিরোধী দলের কর্মী-সমর্থকদের উপরেও হামলা শুরু হয়েছে। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রদ্যোৎ কিশোর দেববর্মণের অভিযোগ, বেশ কয়েকজন কংগ্রেস কর্মী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। যদিও বিজেপি মুখপাত্র নবেন্দু ভট্টাচার্যের দাবি, তাঁদের কোনও কর্মী-সমর্থক এই ধরনের কোনও ঘটনার সঙ্গে জড়িত নন।