Joshimath Disaster

জোশীমঠে বিপর্যয়ের আবহে সীমান্তে বাড়ছে চিনা ফৌজের সমাবেশ! জানালেন সেনাপ্রধান

শুধু পরিবেশগত বা ধর্মীয় কারণ নয়, সীমান্তের নিরাপত্তার দিক থেকেও জোশীমঠ স্পর্শকাতর এলাকা। মাত্র ৫০ কিলোমিটার দূরের বারাহোতীতে গত কয়েক বছরে চিনা সেনা একাধিক বার অনুপ্রবেশ করেছে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১২ জানুয়ারি ২০২৩ ১৭:৪৫
Share:

জোশীমঠে বিপর্যয়ের মধ্যেই সীমান্তে চিনা ফৌজের তৎপরতার কথা জানালেন সেনাপ্রধান। গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।

সীমান্তে ধীর গতিতে সেনা সমাবেশ বাড়াচ্ছে চিন। ভারতীয় সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজ পাণ্ডে বৃহস্পতিবার এ কথা জানিয়েছেন। অরুণাচল প্রদেশ থেকে লাদাখ সীমান্ত পর্যন্ত বিস্তৃত প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার (এলএসি) কোন কোন রাজ্য লাগোয়া এলাকায় চিনা পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ)-র সংখ্যা বাড়ছে, সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট ভাবে কিছু বলেননি তিনি। তবে পূর্ব এবং উত্তর সীমান্তে চিনা তৎপরতার ঘটনা নয়াদিল্লির নজরে এসেছে বলে জানিয়েছেন জেনারেল পাণ্ডে।

Advertisement

অরুণাচলের তাওয়াংয়ের এলএসিতে গত ডিসেম্বর মাসেই সং‌ঘাতে জড়িয়েছিল দুই দেশের সেনা। সেই প্রসঙ্গে জেনারেল পাণ্ডে বলেছেন, ‘‘পূর্ব সীমান্তে ধীরে ধীরে চিনা সেনার সংখ্যা বাড়ছে। বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে।’’ অন্য দিকে, লাদাখ-হিমাচল প্রদেশ-উত্তরাখণ্ডে বিস্তৃত উত্তর সীমান্তে ‘পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে’ বলে জানালেও সেনাপ্রধান মেনে নিয়েছেন, এই এলাকায় পরিস্থিতি বদলের আঁচ প্রায়শই পাওয়া যায় না। যেমন পাওয়া যায়নি ২০২০ সালের ১৫ জুনে। পূর্ব লাদাখের গালওয়ানে।

জোশীমঠে বিপর্যয়ের আবহে সেনাপ্রধানের এই বক্তব্য ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ বলে মনে করছেন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁদের মতে, চিনা সীমান্তবর্তী উত্তরাখণ্ডের ওই প্রাচীন ধর্মীয় জনপদের বিভিন্ন মন্দিরে, বাড়িতে, সড়কে যে ভাবে ফাটল তৈরি হয়েছে, তার অনিবার্য প্রভাব পড়েছে সেখানকার প্রতিরক্ষা পরিকাঠামোয়। চিনা ফৌজ তার ‘সুযোগ’ নিতে চাইলে নিশ্চিত ভাবে চাপে পড়বে ভারতীয় সেনা।

Advertisement

শুধু পরিবেশগত বা ধর্মীয় কারণ নয়, সীমান্তের নিরাপত্তার দিক থেকেও জোশীমঠ স্পর্শকাতর এলাকা। জোশীমঠ থেকে ১০০ কিলোমিটারেরও কম দূরত্বে এলএসির ওপারে অধিকৃত তিব্বতে রয়েছে চিনা ফৌজের ‘ওয়েস্টার্ন থিয়েটার কমান্ডের’ বড় শিবির। জোশীমঠ থেকে মাত্র ৫০ কিলোমিটার দূরের বারাহোতীতে গত কয়েক বছরে চিনের সেনা বার বার অনুপ্রবেশ করেছে।

সম্ভাব্য চিনা হামলার জবাবে জোশীমঠে তাই সেনা এবং ভারত-তিব্বত সীমান্ত পুলিশের (আইটিবিপি) গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটি রয়েছে। যদিও সরকারি ভাবে জানানো হয়েছে, সেনাঘাঁটি নিয়ে কোনও আশঙ্কা নেই। যদিও জমি ধসের কারণে সেনা আইটিবিপির একাধিক শিবিরের বেশ কিছু ঘরবাড়িতে ফাটল ধরছে। তা ছাড়া এলএসি-মুখী সড়কে ফাটল ধরায় যুদ্ধ পরিস্থিতিতে ভারতীয় সেনার গতিবিধি শ্লথ হয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে তাঁদের মত। এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে দিল্লিতে জরুরি বৈঠক করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন