প্রতীকী ছবি।
‘ভূত’ তাড়ানোর নামে এক মহিলাকে শারীরিক এবং মানসিক ভাবে অত্যাচারের অভিযোগ উঠল তাঁর শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে। ঘটনাটি কেরলের কোট্টয়ম জেলার।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বেশ কিছু দিন ধরেই মহিলার শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছিল। শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের ধারণা হয়, তরুণীকে ‘ভূতে’ ধরেছে। তাই তাঁকে তান্ত্রিক ডেকে ঝাড়ফুঁক করার প্রয়োজন। যেমন ভাবনা, তেমন কাজ। এক তান্ত্রিককে ডেকে নিয়ে আসা হয়। তার পর শুরু হয় তন্ত্রমন্ত্র। আর সেই তন্ত্রমন্ত্রের নামে মহিলার উপর কয়েক ঘণ্টা ধরে চলে শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতন।
বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার সময় তন্ত্রমন্ত্র শুরু হয়। তা চলে মধ্যরাত পর্যন্ত। অভিযোগ, এই সময়ের মধ্যে কখনও মহিলাকে মারধর করা হয়, কখনও টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যাওয়া হয়। কখনও আবার আগুনের ছেঁকাও দেওয়া হয়েছে শরীরে। মহিলা আরও জানিয়েছেন, তাঁকে জোর করে বিড়ি, মদ খাওয়ানো হয়েছে। এ ছাড়াও খাওয়ানো হয়েছে ছাইও। সঙ্গে সমানতালে চলেছে মারধর। এই ঘটনার জেরে মহিলা আরও অসুস্থ হয়ে পড়েন। শুক্রবার গোটা ঘটনাটি বাপের বাড়িতে জানান মহিলা। সেই খবর পেয়েই পুলিশের দ্বারস্থ হন মহিলার বাবা। শ্বশুরবাড়ির লোক এবং তান্ত্রিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন।
সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তান্ত্রিক শিবদাস এবং মহিলার স্বামী অখিল দাসকে শুক্রবার গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মহিলার শাশুড়ি এবং আরও এক অভিযুক্ত পলাতক।